বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র ।
ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে নতিস্বীকার করলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কালীপুজো বিষয়ক আলোচনাচক্র করা নিয়ে চাপের মুখে পিছু হটলেন তাঁরা। বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে এই আলোচনাচক্র বসবে না বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসছেন না স্বামী সারদাত্মানন্দ মহারাজও। সোমবার এই আলোচনা চক্রে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তাঁর। তবে এই আলোচনা হবে অনলাইনে। কালীপুজো বিষয়ক আলোচনা চক্র নিয়ে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের লাগাতার বিক্ষোভ চলছিল। সোমবার সকাল থেকেও টানটান উত্তেজনা ছিল শান্তিনিকেতনে। এর পরেই পিছু হঠার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বিশ্বভারতীর তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত, বিতর্ক সত্ত্বেও ‘ব্রাহ্ম’ বিশ্বভারতীতে কালীপুজো বিষয়ক আলোচনাচক্র বন্ধ হবে না বলেই জানানো হয়েছিল। সম্প্রতি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কালীপুজো সংক্রান্ত এই আলোচনাচক্রের আয়োজনের কথা জানান। বলা হয়, ২৫ জুলাই সোমবার এই আলোচনাচক্রে থাকবেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বামী সারদাত্মানন্দ মহারাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সেমিনার হলে এই সভা হওয়ার খবর চাউর হতেই শুরু হয় বিতর্ক। বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের দাবি ছিল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নির্জন প্রকৃতির মাঝে নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনার জন্য শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। কোনও দেবদেবীর আরাধনা বা মূর্তিপুজো এখানে হয় না। সেখানে কালীপুজোর রীতি নিয়ে আলোচনাচক্রের আয়োজনকে ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে।
আশ্রমিক এবং পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ ছিল, সাম্প্রতিক কালী-বিতর্কে ইন্ধন জোগাবে এই আলোচনা চক্র। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠনের তরফে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে এই সংক্রান্ত আলোচনা চক্র বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়।