—প্রতীকী চিত্র।
মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই বড়জোড়ায় এগিয়ে ছিলেন বিরোধীরা। মনোনয়ন-পর্ব মেটার পরেও দেখা যাচ্ছে, কোথাও ত্রিমুখী তো কোথাও চতুর্মুখী লড়াই হচ্ছে। তার মধ্যেই ১৫ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের অলোকা বাউরি। সিপিএম নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, ভুলবশত পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তাঁদের প্রার্থী ঝর্না বাউরি মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। তা বাতিল হয়েছে। সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য সুজয় চৌধুরী বলেন, “ওই আসনে আমরাই জিততাম। ভুলবশত এমনটা হয়েছে। বিজেপি অবশ্য প্রার্থীই দিতে পারেনি ওই আসনে।”
শুক্রবার হাটআশুড়িয়ায় প্রচারে এসে এ নিয়ে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী অর্চিতা বিদও। তিনি বলেন, “সিপিএমের লোক নেই। দু’টি আসনে একই প্রার্থী দিয়েছিল। প্রার্থিপদ বাতিল হয়ে গিয়েছে। তবে ভোট হলেও আমাদের জয় নিশ্চিত ছিল।”
এ দিকে, তৃণমূলের সন্ত্রাসে ওই আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি বলে দাবি বিজেপির বড়জোড়া ১ মণ্ডলের সভাপতি গোবিন্দ ঘোষের। অভিযোগ অস্বীকার করে বড়জোড়ার বিধায়ক তথা তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “মনোনয়নের দ্বিতীয় দিনেই বিজেপি দাবি করেছিল তাদের একশোশতাংশ মনোনয়ন হয়ে গিয়েছে। সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্যই তারা প্রার্থী পাননি।”