পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান চন্দনা। নিজস্ব চিত্র।
স্বামী ও শ্বশুরের উপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয়েছে তৃণমূলের মদতে। এমনই অভিযোগ করে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। বৃহস্পতিবার গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় শালতোড়ার বিধায়ক অভিযোগ করেছেন, রড-লাঠি ইত্যাদি দিয়ে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রামেরই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা চান তিনি। যদিও হামলার ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
বিধায়ক চন্দনার অভিযোগ, বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মেয়ে বর্না, স্বামী শ্রাবণ এবং শ্বশুর সুনীল বাউড়ি গ্রামের মনসা মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় গ্রামের দুই বাসিন্দা দীনেশ এবং অষ্টম বাউড়ি হাতে রড ও লাঠি নিয়ে অতর্কিত তাঁর স্বামী ও শ্বশুরের উপর চড়াও হন। তাঁর শ্বশুরকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করা হয়। বিধায়কের দাবি, তাঁকেও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এবং এই পুরো ঘটনার পিছনে তৃণমূল রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিধায়কের কথায়, “আমি বিজেপি করি বলে আগেও আমার পরিবারের উপর হামলা হয়েছে। দু’বার বিষয়টি মৌখিক ভাবে গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় জানিয়েছিলাম। এ বার লিখিত অভিযোগ জমা দিলাম। তৃণমূলের মদতেই বার বার আমার পরিবারের উপর হামলা হচ্ছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমার সঙ্গে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীরা থাকেন। কিন্তু আমার পরিবারের অন্যান্যদের তো নিরাপত্তারক্ষী নেই। এই অবস্থায় তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’’
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের সম্পাদক নিমাই মাজি বলেন, “বিধায়ক হয়েও চন্দনা এলাকার কোনও উন্নয়ন করেননি। তাই নিজের গ্রামের লোকেরাই তাঁকে গালিগালাজ করে থাকতে পারেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ অন্য দিকে বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) বিবেক বর্মা বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’