প্রতারিত হলেন পুরুলিয়ার যুবক। প্রতীকী চিত্র।
ঢিল ছোড়া দূরত্বে থানা। সেই থানার পুলিশ আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল পুরুলিয়ায়।
রবিবার পুরুলিয়া সাইবার ক্রাইম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পুরুলিয়ার বোরো থানার বড়কড়মো গ্রামের বাসিন্দা অমিত মণ্ডল। বোরো থানার পাশেই মানি ট্রান্সফারের দোকান রয়েছে বছর আঠাশের ওই যুবকের। অবসরে থানায় জল সরবরাহও করে থাকেন অমিত। তাঁর অভিযোগ, ২২ মার্চ, অর্থাৎ গত সপ্তাহে বুধবার বিকেলে একটি অচেনা নম্বর থেকে তাঁর মোবাইলে ফোন আসে। ফোনের ও পারের ব্যক্তি তাঁকে জানান, তিনি বোরো থানার অফিসার!
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগপত্রে অমিতের দাবি, ফোনে ওই ব্যক্তি তাঁকে ফোনে বলেন, ‘‘আমি তোমাকে চিনি। তুমি তো আমাদের থানায় জল দাও। আমায় ৬০ হাজার টাকা দাও। বিপদে পড়েছি। আমায় একটু পাঠিয়ে দাও। আমি সন্ধ্যা নাগাদ দোকানে গিয়ে ফেরত দিয়ে আসব।’’ অমিত জানান, তিনি ওই অনুরোধ রেখে ওই ব্যক্তিকে টাকা পাঠিয়েও দেন। যুবকের দাবি, এক বার নয়, ধাপে ধাপে মোট ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও কেউ টাকা ফেরত দিতে আসেননি। ওই অচেনা নম্বরে ফোন করলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
অমিত জানিয়েছেন, প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি থানায় যান। প্রত্যাশিত ভাবেই তাঁকে জানানো হয়, থানা থেকে কেউই তাঁকে ফোন করেননি। এর পরেই তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) চিন্ময় মিত্তাল বলেন, ‘‘আমরা ব্যাঙ্কের তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছি। আপাত ভাবে মনে হচ্ছে স্থানীয় কেউ এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। সমস্ত সম্ভাবনার পথ খোলা রেখেছি।’’