শোকার্ত পরিজন। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
এক যুবককে শ্বশুরবাড়িতে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার রাতে সিউড়ি থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করল নিহতের পরিবার। সিউড়ি থানার লাঙ্গুলিয়া গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম তাপস বাগদি (৩০)। বাড়ি ওই থানা এলাকার কড়িধ্যা লাগোয়া ছোড়া গ্রামে। শুক্রবার সিউড়ি হাসপাতালে তাঁর দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ট্রাক্টর চালক তাপস বুধবার বিকালে স্ত্রীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। তাপসের ভাই পরেশের অভিযোগ, ‘‘বৌদি কুসুমদেবী দাদাকে জোর করে বাপের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ শুনি দাদা মাঠে কাজ করতে গিয়ে নাকি মারা গিয়েছে। এক জন সুস্থ লোক শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে কীভাবে মারা গেল, তা স্পষ্ট নয়। ময়না-তদন্ত না করিয়েই ওরা দেহ সৎকার করে দিতে চেয়েছিল। ওদের পরস্পর বিরোধী কথা এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে আমাদের সন্দেহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দাদাকে খুন করেছে।’’
এ দিন গ্রামে গিয়ে অভিযুক্তদের কারও দেখা মেলেনি। তবে, গ্রামবাসীদের একাংশ এবং পড়শিরা দাবি করেছেন, কাজ সেরে ফেরার পথেই সাইকেল থেকে হঠাৎ-ই পড়ে যান ওই যুবক। তাঁর নাক দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। তার পরেই তাপসের মৃত্যু হয়। অসুস্থতার কারণেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়ে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশও। তবে, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না পেলে বোঝা যাবে না। পুলিশ জানায়, তাপসের স্ত্রী কুসুমদেবী, দুই ভাই এবং শাশুড়ি-সহ মোট চার জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।