পুরুলিয়া জেলা শিক্ষা দফতরের সামনে। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ সমস্ত ছাত্রছাত্রীর উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করা, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরে ভর্তিতে স্কুল-কলেজের সব ফি মকুব ও আরও কিছু দাবি নিয়ে পথে নামল ডিএসও। সোমবার পুরুলিয়ায় সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল করে ডিআই অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ-অবস্থান করেন। বাঁকুড়ার কেরানিবাঁধ এলাকায় কিছু সময়ের জন্য রাস্তা অবরোধ করা হয়। সেখানে ছিলেন ডিএসও-র বাঁকুডার সম্পাদক অভ্রনীল মণ্ডল।
এই বছর মাধ্যমিকে উত্তীর্ণের হার একশো শতাংশ। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণের হারও গত বছরের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। এতে একাদশ শ্রেণি ও স্নাতক স্তরে ভর্তিতে সমস্যা হবে বলে মনে করছে ডিএসও। পুরুলিয়ার ডিআই অফিসে দেড় ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে। পরে, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক বাসব মুখোপাধ্যায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
ডিআই অফিস থেকে ডিএসও-র প্রতিনিধিদল দাবিদাওয়া নিয়ে গিয়েছিলেন সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নচিকেতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি। দাবিগুলি উপাচার্যকে জানানো হবে। সিদ্ধান্ত নেবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।”
বাঁকুড়ার খাতড়া শহরের পাম্প মোড়ে বাঁকুড়া-রানিবাঁধ এবং ইঁদপুরের শালডিহা কলেজের সামনে ইঁদপুর-বেলুট রাস্তায় অবরোধ হয় বলে জানান সংগঠনের বাঁকুড়া জেলা সহ-সভাপতি নিধু মাজি।
করোনায় অনেক পরিবারের রোজগার কমেছে। অনেকে কাজ হারিয়েছেন। তাই এ বার উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরে ভর্তির সমস্ত ফি মকুব করার দাবি তোলা হয়েছে বলে জানান ডিএসওর পুরুলিয়ার সম্পাদক বিকাশরঞ্জন কুমার। সংগঠনের অভিযোগ, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষাগার, গ্রন্থাগার, কম্পিউটার ব্যবহার প্রভৃতির ফি ‘অযৌক্তিক’ ভাবে নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের করোনার টিকা দিয়ে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে স্কুল-কলেজ খোলার দাবি জানিয়েছে ডিওসও। গণপরিবহণে পড়ুয়াদের ভাড়া এক তৃতীয়াংশ করার দাবিও তোলা হয়। তবে বাসমালিক সমিতির পুরুলিয়ার সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘ডিজেলের দাম বেড়েছে। বাসে এমনিতেই যাত্রী কম হচ্ছে। লোকসানে বাস চালাচ্ছেন মালিকেরা। তাই ভাড়ায় ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়। তবে রাজ্য সরকার ভর্তুকি দিলে সে বিষয়ে চিন্তা করা যাবে।”
জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশের দাবি, উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে ভর্তিতে সমস্ত ফি মকুব করার সিদ্ধান্ত জেলা শিক্ষা দফতর নিতে পারে না।