ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে সভা। নিজস্ব চিত্র
ফের রাস্তায় নামল পুরুলিয়া জেলা বিজেপির কোন্দল।
আগে দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পথে নেমে মিছিল করা, জেলা কার্যালয়ের দেওয়ালে দুর্নীতির অভিযোগে পোস্টার সাঁটা, স্লোগান দেওয়া থেকে শুরু করে নেতার মুখে কালি লেপে দেওয়ার সাক্ষী ছিল পুরুলিয়া। এ বার সোমবার ‘বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী’ ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সভা করল। যদিও বিজেপি জেলা নেতৃত্বের দাবি, যাঁরা সভা করেছেন, তাঁদের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।
এ দিন পুরুলিয়ার ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে ‘পুরুলিয়া জেলা বিজেপি বাঁচাও কমিটি’-র ব্যানারে সভা করেন ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা-কর্মীরা। ব্যানারে নরেন্দ্র মোদী, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ছিল। লেখা ছিল— ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করো, প্রতিরোধ করো, প্রয়োজন হলে প্রতিশোধ নাও’।
সভায় পুরুলিয়া শহর (উত্তর) মণ্ডলের প্রাক্তন নেতা নির্মল কেশরী অভিযোগ তোলেন, ‘‘জেলা বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর কোনও কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেই, বহিষ্কার করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন নেতারা চান না, সংগঠন বিস্তৃত হোক। তাঁরা মৌরসিপাট্টা চান। চাটুকারদের নিয়ে চলেন।’’ এমনকি, কর্মীদের ঘাম-রক্তে জেতা পঞ্চায়েতের অনেকগুলিই শাসকদল তৃণমূলের কাছে ‘বিক্রি’ করা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। সভাস্থলে ছিলেন বিজেপির ওবিসি মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি পরেশ রজক, বিজেপির পুরুলিয়া বিধানসভার প্রার্থী নগেন্দ্র ওঝা, জেলা কমিটির প্রাক্তন সদস্য রাজীব মাহাতো প্রমুখ।
জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী দাবি করেন, ‘‘যাঁরা ওই সভা করেছেন, তাঁদের অনেককেই দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের বাইরের লোক বিজেপি সম্পর্কে কী বলল, তার কোনও গুরুত্ব নেই। যাঁরা বিজেপিকে ভালোবাসেন বলে দাবি করছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই বিজেপির ছবি লাগিয়ে দলের নেতৃত্বের বদনাম করবেন না। তৃণমূলের কথামতো কিছু লোক এই কাজ করতে রাস্তায় নেমেছে। দলে গণতন্ত্র রয়েছে কি না, তা প্রতিটি মণ্ডলের কর্মীরা জানেন।’’
জেলা তৃণমূলের বরিষ্ঠ সহ-সভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘তৃণমূলের নাম জড়ানো ঠিক নয়। এ দিন যাঁরা সভা করেছেন, তাঁরা বিজেপির লোক বলেই পরিচিত।’’