প্রধানের বাড়িতে বোমা কীর্ণাহারে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আভাস

পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধানের বাড়িতে বোমাবাজিতে আভাস মিলল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে নানুরের কীর্ণাহারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কীর্ণাহার শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৮ ০১:১৭
Share:

নিশান: বারান্দার দেওয়ালে বোমা ফাটার চিহ্ন। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধানের বাড়িতে বোমাবাজিতে আভাস মিলল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে নানুরের কীর্ণাহারে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত সওয়া ২টো নাগাদ কীর্ণাহার ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান শিবরাম চট্টোপাধায়ের বাড়ির ছাদের কার্নিস, বারান্দার দিকে দু’টি বোমা ছোড়া হয়। বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, নতুন পঞ্চায়েত প্রধানের নির্বাচন ঘিরে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এমন কাণ্ড ঘটেছে। শিবরামবাবু ও শাসক দলের স্থানীয় নেতারা অবশ্য সে কথা মানেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নানুরের অন্য পঞ্চায়েতের মতো ২০১৩ সালের নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতেও ভোট হয়নি। বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ ও পঞ্চায়েত সমিতির ৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতেন শাসকদলের প্রার্থীরা। প্রধান মনোনীত হন ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য তথা অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী হিসেবে পরিচিত শিবরামবাবু।

Advertisement

সেই সময় প্রধান পদের অন্য দাবিদার থাকলেও তা গ্রাহ্য হয়নি। তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, ওই দাবিদারেরা ছিলেন সেই সময় দলের জেলা সভাপতি তথা ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের বিরোধী হিসেবে পরিচিত বর্তমান জেলা যুব সভাপতি গদাধর হাজরা ও প্রাক্তন যুব নেতা কাজল শেখের অনুগামী। তাই তাদের দাবি মানা হয়নি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চোরাস্রোত বইছিল তখন থেকেই। এর আগেও এক বার প্রধানের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। তখনও দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই ইঙ্গিত মিলেছিল। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে গদাধর হাজরা অনুব্রতের শিবিরে আসেন। কাজল নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।

এ বারও নানুরের ওই পঞ্চায়েতে ভোট হচ্ছে না। এ বারও প্রার্থী হয়েছেন শিবরামবাবু। তৃণমূল সূত্রে খবর, ফের তাঁকে প্রধান করার জন্য ব্লক সভাপতির শিবিরে তৎপরতা শুরু হয়েছে। অন্য দিকে গদাধর হাজরার অনুগামী হিসেবে পরিচিত এক মহিলাকে প্রধান করতে তৎপর হয়েছেন ব্লক সভাপতির বিরোধী গোষ্ঠীর লোকেরা। দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের আশঙ্কা, তার জেরেই বিদায়ী প্রধানের বাড়িতে বোমাবাজি হতে পারে।

শিবরামবাবু অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘এ সব দুষ্কৃতীদের কাজ। দল যাকে চাইবেন, তিনিই প্রধান হবেন। কারও সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই।’’ একই বক্তব্য সুব্রতবাবু ও গদাধরবাবুর। তাঁরা বলেন— ‘‘দলীয় স্তরে তদন্ত করা হচ্ছে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এর কারণ সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই।’’ পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement