village

মমতার পা পড়া গ্রামকে মডলে করার ভাবনা

শুক্রবার গ্রামবাসীদের প্রয়োজন জানতে সেখানে পৌঁছে যান জেলাশাসক বিজয় ভারতী-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:২৫
Share:

ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘুরে যেতেই কপাল ফিরল আদিবাসী গ্রামের। রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তগত বল্লভপুরডাঙ্গা আদিবাসী গ্রামটিকে এ বার ‘মডেল গ্রাম’ হিসাবে গড়ে তুলতে চাইছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।

Advertisement

শুক্রবার গ্রামবাসীদের প্রয়োজন জানতে সেখানে পৌঁছে যান জেলাশাসক বিজয় ভারতী-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পরে জেলাশাসক বলেন, “একটি মডেল গ্রামে যা যা সুবিধা থাকা দরকার, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে মতো সেই সমস্ত কিছুই করা হবে এই গ্রামে।”

জেলা সফর শেষ করার আগে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনাঝুরির ভিতরে থাকা ওই গ্রামে হাজির হন। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা আবাস যোজনার বাড়ি, শৌচাগার, রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানীয় জল সহ একাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত সমস্যা সমাধান করার নির্দেশ দেন জেলাশাসককে। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা ওই গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর সমস্যা বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করেন। এ দিন জেলাশাসক নিজে ওই গ্রাম ঘুরে দেখেন এবং এখনও পর্যন্ত সেখানে কার কার কী ধরনের অসুবিধা, কে কে সরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন, তা বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজখবর নেন।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পানীয় জল, শৌচাগার না-থাকা সহ বেশ কিছু সমস্যা কথা জানিয়েছিলেন। সেই মতো গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে বল্লভপুরডাঙ্গায় তিনটি এবং সরকারডাঙা এলাকায় একটি সোলার সাবমার্সিবল পাম্প বসানো , এলাকার প্রায় ১৩০টি বাড়িতে নতুন করে পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গায় শৌচাগার, এখনও যে সমস্ত বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ পৌঁছয়নি, সেগুলিতে দ্রুত বিদ্যুতের ব্যবস্থা, পুকুর, নর্দমা সংস্কারের পাশাপাশি আবাস যোজনার যে সমস্ত বাড়ি এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে সেগুলি দ্রুত সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো এলকার মানুষ যাতে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পান, তা এ দিন খতিয়ে দেখতে এসেছিলাম। গ্রামটিকে মডেল ভিলেজ করার ব্যাপারেও আমাদের চিন্তাভাবনা চলছে।”

এ দিন গ্রাম পরিদর্শনে জেলাশাসক ছাড়াও ছিলেন বোলপুরের মহকুমাশাসক মানস হালদার, বিডিও (বোলপুর-শ্রীনিকেতেন) শেখর সাঁই। মুখ্যমন্ত্রী গ্রাম ঘুরে যাওয়ার পরেই প্রশাসনের তৎপরতায় গ্রামবাসীরা খুব খুশি। চুরকি মুর্মু, কৃষ্ণ মাড্ডি , রবি কিস্কুরা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ঘুরে যাওয়ার পরে প্রশাসনিক অধিকারিকেরা খোঁজখবর নিচ্ছেন দেখে ভাল লাগল। আমাদের সুবিধা অসুবিধার কথা জানিয়েছি। প্রশাসন সেগুলি সুরাহার বিষয়ে পদক্ষেপ করলে উপকৃত হব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement