২০১৯ সালে শেষ বারের মতো পূর্বপল্লিতে পৌষমেলা হয়েছিল। —ফাইল চিত্র।
পৌষমেলা এ বার পূর্বপল্লির মাঠেই হবে। চার বছর আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালে শেষ বারের মতো পূর্বপল্লিতে এই মেলা হয়। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী এই মেলা তার পর থেকেই বন্ধই ছিল। চলতি বছরে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের উদ্যোগে পূর্বপল্লিতেই আয়োজিত হবে ওই মেলা। সহযোগিতায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিশ ঘোষ।
ব্রাহ্ম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ১৮৯৪ সালে শান্তিনিকেতন সংলগ্ন ভুবনডাঙার মাঠে সূচনা হয়েছিল পৌষমেলার। তবে ১৯৪৩ ও ১৯৪৬ সালে বন্ধ রাখতে হয়েছিল মিলন উৎসব। তখন অবশ্য মাঠের নামেই হয়েছিল মেলার নামকরণ। ১৯৬১ সালে ওই মেলা স্থানান্তরিত হয়েছিল পূর্বপল্লির মাঠে। তখন থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে পৌষমেলা চললেও ২০২০ সালে অতিমারির জন্য বন্ধ ছিল মেলা। ২০২১ ও ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আপত্তিতে পূর্বপল্লির মাঠে বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই মেলা আয়োজিত হয়নি। তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। বিভিন্ন তরফে জানানো হয়েছিল প্রতিবাদও। এই দু’বছর অবশ্য বোলপুর পুরসভা ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল ‘বিকল্প পৌষমেলা’। ২০২৩ সালে বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট রাজ্য সরকারকে মেলার আয়োজনের দায়িত্ব দিলে তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়।
চলতি বছরের চুক্তি অনুযায়ী, আগের মতোই আবারও মেলার মূল আয়োজক থাকবে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। সহযোগিতায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সভাকক্ষের বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, জল, বিদ্যুৎ, নিকাশি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হবে আগের মতোই। আবেদন জানিয়ে দ্রুত চিঠিও পাঠানো হবে। ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, আগের মতো ৭ পৌষ মেলার সূচনা হবে।