বেতন পাননি বিশ্বভারতীর কর্মীরা। —ফাইল চিত্র
জুন পেরিয়ে জুলাইয়ের দশম দিনে পা। কিন্তু শনিবারেও জুন মাসের বকেয়া বেতন পেলেন না বিশ্বভারতীর কর্মীরা। তার জেরে স্বাভাবিক ভাবেই বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা। এর মধ্যেই কর্মীদের অধিকার হরণের অভিযোগ তুলে শনিবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেছে এপিডিআর।
সাধারণত, মাসের পয়লা তারিখেই বেতন হয় বিশ্বভারতীতে। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে জুলাইয়ের দশম দিন পড়লেও বেতনহীন অবস্থাতেই রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৩০০ জন কর্মী। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রের মতে, রবি পেরিয়ে সোমে বেতন পেতে পারেন কর্মীরা। গত বছরের শুরুতেই উপাচার্যের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, কোনও অধ্যাপক বা কর্মী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে পারবেন না। তাই এ নিয়ে কোনও কর্মীই প্রকাশ্যে কথা বলতে নারাজ।
বেতন-বিতর্কের মধ্যেই শনিবার উপাচার্য, ফিনান্স অফিসার এবং রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় এফআইআর দায়ের করে এপিডিআর। সংগঠনের বোলপুর শাখার তরফে শৈলেন মিশ্র বলেন, ‘‘এই উপাচার্য আসার পর থেকেই বিশ্বভারতীর সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের উপর আঘাত নেমে আসছে। বিশ্বভারতীতে ভয়ের রাজত্ব চলছে। প্রতিবাদ করার অধিকার নেই। কিছু বলার অধিকার নেই। অর্থাৎ ওখানকার মানুষ অধিকারহীনতায় ভুগছেন। কিছু বললেই উপাচার্য বলছেন ‘পদপিষ্ট’ করে মেরে দেওয়া হবে। কর্মী, অধ্যাপকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। অনেকে পেনশন পাচ্ছেন না। উপাচার্য অতিমারিরও সুযোগ নিচ্ছেন। মানুষের অধিকার নিয়ে আমরা সরব।’’