রাস্তার পাশে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকছে অটো রিকশা। সরু রাস্তায় এমনিতেই যাতায়াত করা সমস্যা, তার উপরে অটো দাঁড়িয়ে থাকায় যানজট প্রতিদিনের ব্যাপার। অভিযোগ, বহু অটোর আবার বৈধ কাগজপত্র নেই। প্রায় সমস্ত অটোই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে। এই ধরনের সমস্যাগুলি মেটাতে অটো ও ভাড়ার গাড়ি নিয়ে কিছু পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী হল রঘুনাথপুর মহকুমা প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিভিন্ন মহল থেকে অটো ও ভাড়ার গাড়ি নিয়ে কিছু অভিযোগ এসেছে প্রশাসনের কাছে। সেই প্রেক্ষিতেই সংশ্লিষ্ট সমস্ত মহলকে নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করেন মহকুমাশাসক দেবময় চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দফতরে হওয়া বৈঠক উপস্থিত ছিলেন রঘুনাথপুরের পুরপ্রধান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়, আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক (এআরটিও) তরুণ দত্ত, অটো চালকদের সংগঠনের প্রতিনিধি এবং ভাড়ার গাড়ির চালক ও মালিকদের একাংশ। রঘুনাথপুর শহর থেকে বিভিন্ন রুটে যাতায়াতের জন্য এখন অটো অন্যতম ভরসা যাত্রীদের। কিন্তু, মহকুমার বিভিন্ন রুটে কত সংখ্যক অটো বর্তমানে চলছে, তার নির্দিষ্ট হিসাব নেই প্রশাসনের কাছে। রাতের দিকে বেশি ভাড়া নেওয়া,অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বিপজ্জনক ভাবে চলাচল করা, এই মর্মে অটোগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে প্রশাসন।
এ দিনের বৈঠকে স্থির হয়েছে, রঘুনাথপুর থেকে কোন এলাকায় যাওয়ার কত ভাড়া নেওয়া হবে, সেটা অটো স্ট্যান্ড ও ভাড়ার গাড়ির স্ট্যান্ডে বোর্ডে লিখে রাখতে হবে। রাস্তার পাশে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা যাবে না। রঘুনাথপুর বাসস্ট্যান্ড বা অটো স্ট্যান্ড থেকেই যাত্রী তুলতে হবে। পাশাপাশি গাড়ির বিমা-সহ অন্য নথিপত্র ঠিকঠাক রাখারও নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ পাওয়ার পরেই এ দিন বৈঠক করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে গাড়ির নথিপত্র এপ্রিলের মধ্যেই ঠিক করতে বলা হয়েছে।” না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘বৈঠকে গাড়িগুলিকে নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডে দাঁড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।” গাড়ির ভাড়ার বোর্ড প্রয়োজনে পুরসভা তৈরি করে লাগাবে বলেও তিনি জানান।