Murder

নেশার টাকা না পেয়ে ‘খুন’, ধৃত

গম্ভীর নেশা করতেন। সে জন্য প্রায়ই বাবার কাছ থেকে টাকা চাইতেন। বাবা টাকা দিতে রাজি না হলে জোর করে ছিনিয়ে নিতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৫১
Share:

জটলা: বুধবার সকালে পুরুলিয়া ১ ব্লকের বেলকুঁড়ি গ্রামে নীলকান্ত গোপের (ইনসেটে) বাড়ির সামনে পড়শিরা। নিজস্ব চিত্র

নেশা করার টাকা না পেয়ে বাবাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ পুরুলিয়া মফস্‌সল থানার বেলকুঁড়ি গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম নীলকান্ত গোপ (৫৫)। ঘটনার পরে তাঁর ছেলে অভিযুক্ত গম্ভীর গোপ পালিয়ে গিয়েছিলেন। বুধবার ওই এলাকা থেকে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের স্ত্রী সন্ধ্যা গোপ তাঁর বড় ছেলে গম্ভীরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। আজ, বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হবে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে পুলিশ আদালতে আবেদন জানাতে পারে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নীলকান্তবাবুর পরিবার নিতান্ত দরিদ্র। দিনমজুরি করে তাঁদের সংসার চলে। দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বড় গম্ভীরের বয়স বছর পঁচিশ। তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে এ দিন নিহতের মেয়ে রীতা গোপ দাবি করেন, গম্ভীর নেশা করতেন। সে জন্য প্রায়ই বাবার কাছ থেকে টাকা চাইতেন। বাবা টাকা দিতে রাজি না হলে জোর করে ছিনিয়ে নিতেন। রীতার দাবি, ‘‘মঙ্গলবার রাতে বাবা খাওয়াদাওয়া করার সময়ে দাদা এসে বাবার কাছে কিছু টাকা চায়। বাবা তখন বলেছিল, ‘সামনে পুজো। কিছু কাজ কর। নেশা করে ঘুরে বেড়ালে চলবে কী করে?’ এই কথা শুনে দাদা মুখ গোঁজ করে দাঁড়িয়ে থাকে। পরে বাবা উঠোনে হাত ধুতে গেলে, দাদা ধারাল বর্শার মতো কিছু দিয়ে বাবার গলার পাশে কানের নীচে ঢুকিয়ে দেয়। বাবা চিৎকার করে পড়ে যান।’’

Advertisement

রক্তাক্ত অবস্থায় নীলকান্তবাবুকে স্থানীয়েরা পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে পরীক্ষা করে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। নীলকান্তবাবুর স্ত্রী সন্ধ্যা গোপ বলেন, ‘‘ছেলেকে স্বামী শুধু নেশা না করে রোজগার করতে বলেছিলেন। এটুকু কথাতেই যে সে তার বাবাকে খুন করে ফেলবে, ভাবিনি! সংসারটাই শেষ হয়ে গেল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement