মঙ্গলবার তারাপীঠে জে পি নড্ডার সভায় ভিড়। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।
তারাপীঠে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার সভায় মাত্র হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছে বলে দাবি করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
মঙ্গলবার বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে মোবাইলে নড্ডার সভার ভিডিয়ো দেখিয়ে সভা ব্যর্থ বলে দাবি করেন অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা নিজের চোখেই দেখে নিন, নড্ডার সভায় কত লোক হয়েছে। আমি মিথ্যা কথা বলি না। আমার জেলা তো গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখছে। বিজেপির সভার নড্ডা থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতা এসেছেন। তা সত্ত্বেও লোক কম কেন?’’ অনুব্রত নিজেই এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘মা তারা বারণ করে দিয়েছেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ওদের উপর মা তারার আশীর্বাদ নেই। মা তারাও জানেন ওদেরকে আশীর্বাদ দিলে বাংলাটা ভোগে চলে যাবে।’’
এ দিন তারাপীঠে পুজো দিয়ে রাজ্যে দু’শোর বেশি আসন পাওয়ার দাবি করেন নড্ডা। সে প্রসঙ্গে অনুব্রতর কটাক্ষ, ‘‘আজকের সভা দেখে উনি যতক্ষণ পর্যন্ত বিমানে দিল্লি যাবেন ততক্ষণ বিজয়বর্গীয়কে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে যাবেন।’’ এরপরই তিনি বলেন, ‘‘যদি আজ আমার রাজ্য সভাপতি আসেন আর আমি তাকে যদি নানুর ব্লকে পাঠিয়ে দিই, সেখানে যদি লোক না হয় তাহলে বদনাম কার হবে?’’ অনুব্রতর বক্তব্যের জবাবে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘ওঁর মনে হয় চোখের কোনও সমস্যা হয়েছে। তাই আজকের সভায় কত লোক হয়েছে তা উনি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছেন না। তাই আমাদের পরামর্শ উনি যেন দ্রুত চোখের চিকিৎসা করান।’’
এ দিনও ‘খেলা’র প্রসঙ্গ তুেল অনুব্রত বলেন, ‘‘খেলা হচ্ছে বলেই বিজেপির সভাতে লোক নাই, খেলা না হলে তো লোক থাকতো, খেলা আছে। খেলা আবারও হবে।’’ বিজেপিকে বিঁধে তাঁর বক্তব্য, ‘‘সব সময় ধর্ম নিয়ে রাজনীতি হয় না। কিছু করতে হয়, কিছু দিতে হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে দুহাত ভরে দিচ্ছেন আর বিজেপি সরকার শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে ভাওতা দিয়ে যাচ্ছে।’’ ধ্রুব পাল্টা বলেন, ‘‘বিজেপির ভয়ে ওঁর রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। তাই এই সমস্ত ভুলভাল কথা বলছেন। এতে কোনও লাভ হবে না। মানুষ বিজেপির সঙ্গে আছে।’’
এ দিন বোলপুরে জেলা কমিটির বৈঠকেও যোগ দেন অনুব্রত। ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী আশিস বন্দোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিংহ, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল-সহ জেলা নেতৃত্ব।