সদস্য সংগ্রহের জন্য আপের পোস্টার নলহাটিতে। —নিজস্ব চিত্র।
দলের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আগেই মিসড কলের মাধ্যমে দলে যোগদানের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল আম আদমি পার্টি (আপ)। সেই জন্য জেলা জুড়ে পোস্টারও লাগানো হয়েছে ইতিমধ্যে। বীরভূমে আপের নেতাদের দাবি, গত তিন বছর ধরে জেলায় ক্রমেই বেড়েছে তাঁদের দলের জনপ্রিয়তা। এ বার সদস্যপদ সংগ্রহের কাজে আরও গতি আনতে চাইছে তারা। সেই লক্ষ্যে বিশেষ শিবির করছে আপ। আপের নেতাদের দাবি, প্রতিদিন এ রকম শিবিরের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ জন করে নতুন সদস্য হচ্ছে বলে দলীয় নেতৃত্বের দাবি।
আজ, রবিবার সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সে-রকম একটি শিবির হওয়ার কথা বলে আপ সূত্রের খবর। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ওই শিবির চলবে। এ ছাড়া বিকেলে নলহাটি এলাকাতেও একই কর্মসূচি হওয়ার কথা। দিন কুড়ি আগে থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই বিশেষ শিবির শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাতে বোলপুরের বাসস্ট্যান্ড, নেতাজিবাজার এলাকায় আপের পক্ষ থেকে লিফলেট ও সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি হয়েছে।
আপ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে মাত্র ১০ জন কর্মীকে নিয়ে জেলায় পথ চলা শুরু করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। ২০২১ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ১৮০০ থেকে ২০০০-এর মতো। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৫০০ কর্মী রয়েছে দলে। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, এ বছর বিধানসভা নির্বাচনে পঞ্জাবে বিপুল জয়ের পর আপের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরও বেড়েছে। তার প্রতিফলনও তাঁরা পেয়েছেন। কিন্তু, সংগঠন বিস্তার করতে গেলে সদস্য অনেকগুণ বাড়ানো দরতকার, এ কথা আপ নেতৃত্বও বুঝছেন। সেই লক্ষ্যেই তাঁরা বিশেষ শিবির শুরু করেছেন। ওই শিবিরগুলিতে জেলার জনা ১৫-২০ নেতা-কর্মী থাকছেন। তাঁরা পথ চলতি মানুষের মধ্যে লিফলেট বিলি করছেন।
পাশাপাশি আর পাঁচটা রাজনৈতিক দলের থেকে আপের ফারাক কোথায়, কেন মানুষ আপকে গ্রহণ করবেন— সেই সম্পর্কে বিশদে বলা হচ্ছে। ওই রাজনৈতিক দলের নেতাদের দাবি, আপের মূল উদ্দেশ্য হল, দুর্নীতি-মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গড়া, জনগণের ইচ্ছার মতো শাসন প্রতিষ্ঠা করা, সকলের জন্য বিনামূল্যে উন্নতমানের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা ইত্যাদি। আপের এই সমস্ত উদ্দেশ্যগুলি সম্পর্কে মানুষকে বিশদে বোঝানো হচ্ছে। পাশাপাশি দিল্লিতে আপ সরকার কী কী করেছে, তার উদাহরণও দেওয়া হয়েছে। তাতে প্রচুর মানুষ আগ্রহী হয়ে দলে যোগদান করছেন। আপের জেলা সভাপতি বিশ্বদীপ মৈত্র বলেন, ‘‘আমরা সারা বছরই মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। কিন্তু, জেলায় বৃহত্তর আকারে কাজ করতে হলে প্রয়োজন কর্মীর। তাই আমাদের লক্ষ্য, দলের কর্মী সংখ্যা বাড়ানো। এই শিবিরের মাধ্যমে খুব ভাল সাড়া পেয়েছি।’’ এই কর্মসূচি এখন চলবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।