যে শ্লিপ পৌঁছনোর কথা ছিল উপভোক্তাদের হাতে, প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ার পর সেই স্লিপই মিলল গোবরের গাদায়!
ময়ূরেশ্বরের দাসপলশা পঞ্চায়েতের ঘটনা। খবর জানাজানি হতেই বিরোধীদের অভিযোগ, বিরোধীদের বঞ্চিত করার জন্যই ক্ষমতাসীন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত ওই কারসাজি করেছে। পঞ্চায়েত প্রধান অবশ্য সে অভিযোগ মানেননি। পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, শুক্রবার ছিল ওই পঞ্চায়েত এলাকায় আধার কার্ডের ছবি তোলার দিন। ছবি তোলার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্লিপ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় বীরনগরী সংসদের ১০৫ জন বাসিন্দা ওই স্লিপ পাননি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় পাল, ভুবনমোহন মণ্ডলরা জানান, স্লিপের ব্যাপারে জানতে গেলে পঞ্চায়েত থেকে সাফ বলে দেওয়া হয় আমাদের নামে স্লিপ আসেনি। ব্লক অফিসে যান। পরে রাতের দিকে গ্রামেরই একটি সারের গাদা থেকে ওই সব স্লিপ উদ্ধার হয়। মাঝখান থেকে ছবি তোলাই হল না।
এখন গ্যাসের ভর্তুকি থেকে স্কুলে ছেলেমেয়েদের সরকারি সাহার্য্যের জন্য ব্যাঙ্কে পাসবই খুলতে আধার কার্ড চাওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা বিজেপি’র ব্লক যুব মোর্চার সভাপতি বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই সব বাসিন্দারা আমাদের দলীয় সমর্থক বলেই তাদের সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতেই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত ওই কারসাজি করেছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান আসিয়া বিবি বলেন, ‘‘ব্লক অফিস থেকে যাদের নামে স্লিপ পাঠানো হয়েছিল দায়িত্ব সহকারেই তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। আসলে বিজেপি’ই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কারণে কিছু দলীয় সমর্থকের স্লিপ আটকে রেখে গোবর গাদায় পড়ে থাকার গল্প তৈরি করছে।’’
সংশ্লিষ্ট ময়ূরেশ্বর ২ নং ব্লকের বিডিও সৈয়দ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘‘ওই অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই পঞ্চায়েতে আরও ১৪ দিন ছবি তোলার কাজ হবে। তাই যাদের ছবি তোলা হয়নি তাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে স্লিপ পাঠিয়ে তাদের ছবি তোলার ব্যবস্থা করা হবে।’’