Death at Rehab Center

যুবকের মৃত্যু, ভাঙচুর নেশামুক্তি কেন্দ্রে

পুলিশ জানিয়েছে, বোলপুরের ঘটনায় মৃতের নাম বিক্রম হাজরা (২৬)। তাঁর বাড়ি ইলামবাজার থানার নাচনসা এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৩৭
Share:

বোলপুর বাইপাসে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুতে মৃতের আত্মীয় ও উত্তেজিত জনতা নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভাঙচুর করে।ছবিঃ নিজস্ব চিত্র

নেশামুক্তি কেন্দ্রে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বোলপুরের বাইপাস এলাকায়। মৃতের আত্মীয় ও উত্তেজিত জনতা বৃহস্পতিবার দুপুরে নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। পরে বোলপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দিন কয়েক আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে এক কিশোরকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ গ্রেফতার করে ওই কেন্দ্রের মালিককে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বোলপুরের ঘটনায় মৃতের নাম বিক্রম হাজরা (২৬)। তাঁর বাড়ি ইলামবাজার থানার নাচনসা এলাকায়। পরিবারের দাবি, বিক্রম নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। মাসখানেক আগে বোলপুরের জিলিপিতলা বাইপাস এলাকায় থাকা ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে বিক্রমকে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার সকালে বিক্রম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে বোলপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সেখান থেকে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর পরেই ভাঙচুর হয় ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে।

পরিবারের অভিযোগ, শারীরিক অত্যাচারের জন্য বিক্রমের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পিসিমা বাসন্তী হাজরা বলেন, “ওই কেন্দ্রে নেশা ছাড়ানোর নামে আমাদের ছেলের উপরে অত্যাচার করা হত। ভাল করে খেতে দেওয়া হত না। আমাদের ধারণা, অতিরিক্ত মারধর করার জন্যই ওর মৃত্যু হয়েছে।’’ মৃতের বাবা সুভাষ হাজরা বলেন, “সকালে নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, বিক্রম অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে এসে জানতে পারি আমার ছেলে আর নেই! কী ভাবে হতে পারে? আমরা এর বিচার চাই।” জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবে, কী কারণে এই মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিন নেশামুক্তি কেন্দ্রে গিয়ে কারও দেখা মেলেনি। তবে, বারবার নেশামুক্তি কেন্দ্রে মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement