Water Bell

ঘনঘন জলপানে ‘ওয়াটার বেল’

সমাজ মাধ্যমে প্রথম এই পদ্ধ‌তি দেখেন ওড়িশার একটি স্কুলে। তারপরেই নিজের স্কুলের কথা মনে পড়ে। তবে সম্প্রতি কলকাতার বেশ কিছু স্কুল ‘ওয়াটার বেল’ চালু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নিতুড়িয়া, রাইপুর শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:০৩
Share:

জলপান। রাইপুরের চাতরি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে। নিজস্ব চিত্র sushilmahali2015@gmail.com

লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। তাই চিকিৎসকেরা ঘনঘন জল খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু স্কুলে ছোটদের কে বারবার জল খেতে মনে করাবে? তাই প্রতি ঘণ্টায় পড়ুয়াদের জল পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে ‘ওয়াটার বেল’ শুরু করল রাইপুরের চাতরি নিম্ন বুনিয়াদি আবাসিক বিদ্যালয় ও নিতুড়িয়ার বিন্দুইডি প্রাথমিক স্কুলে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার থেকে জলপানের ঘণ্টা চালু হল ওই স্কুলে। প্রধান শিক্ষক উত্তমকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জলের প্রয়োজন হয়। তাই এই ভরা গ্রীষ্মে পড়ুয়াদের শরীরে পর্যাপ্ত জলের জোগান দিতে প্রতি ঘণ্টায় ওদের জল পান করানোর অভ্যাস চালু করা হল।’’

তিনি জানান, সমাজ মাধ্যমে প্রথম এই পদ্ধ‌তি দেখেন ওড়িশার একটি স্কুলে। তারপরেই নিজের স্কুলের কথা মনে পড়ে। তবে সম্প্রতি কলকাতার বেশ কিছু স্কুল ‘ওয়াটার বেল’ চালু করেছে।

Advertisement

প্রধান শিক্ষকের কথায়, ‘‘ঘন ঘন জলপান সু-অভ্যাস। পড়ুয়াদের মধ্যে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে তারা সুস্থ থাকবে। আমরা চাই, তারা বাড়িতে ও হস্টেলে এই অভ্যাস পালন করুক। সে জন্য এ দিন স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবক ও হস্টেল সুপারকে ডেকে তাঁদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’ স্কুল চলাকলীন প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর ঘণ্টা বাজিয়ে পড়ুয়াদের ডেকে জলপানের অভ্যাস করানো হয় এ দিন।

এতে খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবক ও বাসিন্দাদের একাংশ। অভিভাবক তিমির মল্লিক জানান, পড়ুয়াদের নিয়মিত জলপানে অভ্যস্ত করার জন্য প্রধান শিক্ষকের এই উদ্যোগে তাঁরা খুশি। চাতরি নিম্ন বুনিয়াদি আবাসিক বিদ্যালয়ের হস্টেল সুপার সন্তোষকুমার শবর বলেন, ‘‘হস্টেলের ছেলেদের যাতে এই অভ্যাস করানো যায়, সে দিকে নজর থাকবে।’’

নিতুড়িয়ার বিন্দুইডি প্রাথমিক স্কুল কর্তপক্ষ জানাচ্ছেন, এর মাধ্যমে পড়ুয়াদের জলপানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌমেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, পড়ুয়াদের প্রতিটি ক্লাস শুরুর আগে ঘণ্টা বাজিয়ে পড়ুয়াদের মনোযোগ আকর্ষণ করে এক সঙ্গে জল খাওয়ানো হচ্ছে। তীব্র গরমে যাতে পড়ুয়াদের শরীরে জল শূন্যতার সমস্যা না হয়, তাই জলপানের অভ্যাস গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ বলে জানান প্রধান শিক্ষক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement