Dipshita Dhar

মোদীকে তোপ দীপ্সিতার, বক্তব্যে ‘বাধা’ যুবকের

এসএফআইয়ের রাজ্য নেতা অনির্বাণ রায়চৌধুরীর পরে দীপ্সিতা বক্তব্য শুরু করেন। দীপ্সিতা কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট  শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৫:০৫
Share:

রামপুরহাটে দীপ্সিতা। নিজস্ব চিত্র sabyasachi.islam@abp.in

এসএফআইয়ের জেলা সম্মেলনে সংগঠনের নেত্রী দীপ্সিতা ধরের বক্তব্য চলাকালীন তাল কাটল রামপুরহাটে। শনিবার দীপ্সিতার বক্তব্য চলাকালীন মঞ্চের সামনে গিয়ে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। পাল্টা ওই যুবককে মারধর করার অভিযোগও ওঠে সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশে এ নিয়ে কোনও অভিযোগ হয়নি। পুলিশ ওই যুবককে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি সামলায়।

Advertisement

শনিবার দুপুরে রামপুরহাট ছ’ফুঁকো মোড় লাগোয়া এলাকায় এসএফআইয়ের ২১তম জেলা সম্মেলন শুরু হয়। দু’দিনের সম্মেলন শুরুর আগে প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তা হিসেবে ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক দীপ্সিতা ধর। এসএফআই ছাড়াও সিপিএমের যুব সংগঠন, জেলা এবং স্থানীয় সিপিএম নেতারাও উপস্থিত ছিলেন ওই সমাবেশে। মূল বক্তা ছিলেন দীপ্সিতা।

এসএফআইয়ের রাজ্য নেতা অনির্বাণ রায়চৌধুরীর পরে দীপ্সিতা বক্তব্য শুরু করেন। দীপ্সিতা কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করেন। রাজ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ তোলেন। মোদী সরকারের সমালোচনা করতে গিেয় দীপ্সিতা বলেন, ‘‘সংবিধানে স্পষ্ট লেখা আছে যে, আপনি যদি ভারতীয় নাগরিক হোন তাহলে আপনি পছন্দ মতো ধর্মাচরণ করতে পারবেন। সুতরাং সমস্যাটা কে রামমন্দির করছেন, কে পুজো করছেন, কে জয় শ্রীরাম বলছেন তা নিয়ে নয়। সমস্যাটা হচ্ছে একটা দেশের নির্বাচিত সরকারের দায়িত্ব নাগরিকদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। সরকার কোনও দিন রামমন্দির নির্মাণ করতে পারে না।’’

Advertisement

এই সময়ই তাল কাটে সমাবেশে। দীপ্সিতার বক্তব্য চলাকালীন রেলস্টেশন থেকে ছ’ফুঁকো যাওয়ার রাস্তা ধরে এক মাঝবয়সী যুবককে স্কুটার রাস্তার দাঁড় করিয়ে মঞ্চের পাশে চলে যেতে দেখা যায়। মঞ্চে বসে থাকা এসএফআইয়ের কর্মীদের সঙ্গে ওই যুবককে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে কথা বলতেও দেখা যায়। যুবকটিকে মঞ্চে বসে থাকা এসএফআইয়ের নেতারা চলে যেতে বলেন। এর মধ্যেই স্থানীও সিপিএম এবং এসএফআই কর্মীরা ওই যুবকের উপর চড়াও হন ও চড় থাপ্পড় মেরে এলাকা থেকে সরিয়ে দেন। পুলিশ এসে ওই যুবককে নিয়ে যায়।

অমিত মণ্ডল নামে রামপুরহাটের বাসিন্দা ওই যুবক পরে দাবি করেন, ‘‘আমি ওঁর হিন্দুত্ব নিয়ে অপপ্রচার করা বক্তব্যের আপত্তি জানিয়েছি।’’ দীপ্সিতা বলেন, ‘‘আমি চাষির সমস্যা, শ্রমিকের সমস্যা, মহিলা কুস্তিগিরদের কথা বলেছি। আসলে যাঁদের গায়ে লাগছে তাঁরা নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কিছু শুনতে পারছেন না। আরও বেশি করে ওঁদের গায়ে লাগুক এটাই আমরা চাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement