—ফাইল চিত্র।
বীরভূমের চাতরা ও মুরারাই স্টেশনের মাঝে তৃতীয় লাইন সম্প্রসারণের কাজের জন্য বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অনেক দূরপাল্লার ট্রেনকে ঘুরপথে উত্তরবঙ্গে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হবে। বৃহস্পতিবার হাওড়া স্টেশনের ডিআরএম অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে ডেকে এ কথা জানালেন পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার এবং পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।
দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা জানান, আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর ১২ দিন ওই শাখায় নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ হবে। এর ফলে ওই দিনগুলিতে কিছু ট্রেন বাতিল থাকবে, কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হবে এবং কিছু ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হবে। তাঁরা জানিয়েছেন, মোট ১১ জোড়া মেল, এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে বাতিল করা হবে। বাতিল ট্রেনের মধ্যে রয়েছে আপ হাওড়া-মালদহ টাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, হাওড়া জয়নগর এক্সপ্রেস, হাওড়া আজিমগঞ্জ কবিগুরু এক্সপ্রেস, হাওড়া গয়া এক্সপ্রেস। এ ছাড়াও সাহেবগঞ্জ-রামপুরহাট এক্সপ্রেস স্পেশাল, আজিমগঞ্জ-রামপুরহাট স্পেশাল, রামপুরহাট-আজিমগঞ্জ মেমু স্পেশাল, রামপুরহাট-আজিমগঞ্জ মেমু প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, রামপুরহাট-সাহেবগঞ্জ মেমু প্যাসেঞ্জার স্পেশাল এবং রামপুরহাট-বারহারওয়া প্যাসেঞ্জার স্পেশাল আপ এবং ডাউন লাইনে বাতিল থাকবে।
এ ছাড়াও ২১টি আপ ট্রেন ও ২১টি ডাউন ট্রেন ঘুরপথে যাতায়াত করবে। এগুলির মধ্যে রয়েছে হাওড়ার রাধিকাপুর-কুলিক এক্সপ্রেস, হাওড়া গুয়াহাটি-সরাইঘাট এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ শিলচর-কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, শিয়ালদা আগরতলা-কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, শিয়ালদা মালদহ-টাউন গৌড় এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ বামনহাট-উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, কলকাতা হলদিবাড়ি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, কলকাতা বালুরঘাট এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ নিউ আলিপুরদুয়ার পদাতিক এক্সপ্রেস-সহ একাধিক ট্রেন। এ ছাড়াও দিঘা-মালদহ টাউন এক্সপ্রেস এবং মালদহ টাউন-সুরাট এক্সপ্রেস নির্ধারিত দিনের বদলে অন্য দিনে ছাড়া হবে। রেল কর্তারা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে পর্যটকদের চাপ থাকার জন্য শিয়ালদহ-কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস বাতিল করার কথা ভাবা হলেও ঘুরপথে তা চালানো হবে। বুধবার হাওড়া-এনজিপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস স্পেশাল ট্রেন হিসাবে চালানো হলেও যাত্রী ভাড়া একই থাকবে।
রেলের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, তৃতীয় লাইনের সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে ওই লাইন দিয়ে মালগাড়ি সহজে যাতায়াত করতে পারবে। ফলে সাতটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা পরিবহণে সুবিধা হবে। এতে ওই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন নতুন মোড় নেবে। এই প্রকল্পে খরচ হবে মোট ২৮৬ কোটি টাকা।