প্রতীকী ছবি।
মায়ের উপর সৎবাবার অত্যাচারের সময় রুখে দাঁড়াত ১২ বছরের কিশোর। পরে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হলে মাকে নিয়ে আলাদা একটি বাড়ি ভাড়া করে চলেও যায় সে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে একা সামনে পেয়ে এলোপাথারি ছুরি চালালেন সৎবাবা।
বীরভূমের দুবরাজপুরের এই ঘটনায় গুরুতর জখম ওই কিশোর এখন দুবরাজপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সৎবাবাকে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ইসলামপুর এলাকার। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুকুর শেখ। ১২ বছর বয়সি আহত কিশোর সুকুরের নিজের সন্তান নয়। তার মায়ের স্বামী এবং সম্পর্কে ছেলেটির আপন কাকা।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে ওই কিশোর বাড়ির নীচে গোয়াল ঘরে গরু বাঁধতে গেলে সেখানে এসে হাজির হন সুকুর। তার পরই সৎছেলেকে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করেন তিনি। ধারালো অস্ত্রের কোপের পাশাপাশি কিশোরের গলায় ছুরিও চালান সুকুর।
ওই কিশোরের এক দাদা কাছেই ছিলেন। দূর থেকে তিনি ঘটনাটি দেখে নিরস্ত করার চেষ্টা করেন সুকুরকে। ছুরির আঘাতে জখম কিশোরকে প্রথমে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সিউড়ি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে।
পুলিশ জানিয়েছে দীর্ঘ দিন ধরেই ছেলেটির মায়ের সঙ্গে বিবাদ চলছিল সুকুরের। তার বাবার মৃত্যুর পর সুকুর তার মাকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সেই বিয়েতে নিত্যদিনই চলত অশান্তি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রায়শই স্ত্রীকে মারধর করতেন সুকুর। তবে সম্প্রতি দু’জনের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পরই এই ঘটনা।