—প্রতীকী চিত্র।
ব্যবসায়ীর উপরে গুলি চালানোর অভিযোগে প্রাক্তন এক আধাসেনা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পাড়ুই থানার পুলিশ। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন ওই ব্যবসায়ী। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে পাড়ুইয়ের বাতিকার অঞ্চলে।
পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম গোষ্ঠগোপাল হাজরা। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ৩০৭,অস্ত্র আইন সহ একাধিক ধারায় মামলার রুজু করা হয়েছে। গ্রামে পুলিশও মোতায়ন রয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত ব্যক্তি। তবে, ঠিক কেন মুক্তিপদ রক্ষিত নামে ওই ব্যবসায়ীকে তাক করে গুলি চালানো হল, তা নিয়ে পুলিশ এখনও ধোঁয়াশায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাতিকারের চাতর এলাকায় মুক্তিপদের মুদির দোকান আছে। আছে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসাও। মুক্তিপদের অভিযোগ, এ দিন ভোরে তাঁর একটি গাড়ির ভাড়া থাকায় বাড়ির সদর দরজা খুলতে গেলে উল্টো দিক থেকে তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। মক্তিপদ জানান, গুলিটি লাগে দরজায়। তবে, লোহা ছিটকে বুকের কাছে কিছুটা চোট লাগে। মুক্তিপদের দাবি, তাঁর বাড়ি উল্টো দিকে থাকা গোষ্ঠগোপালের বাড়ি থেকেই গুলি চালানো হয়েছে। ওই প্রাক্তন আধাসেনা কর্মীর সঙ্গে পারিবারিক বিবাদ রয়েছে মুক্তিপদের বলে গ্রাম সূত্রে জানা গিয়েছে। গ্রামবাসীর একাংশের দাবি, গ্রামের আরও অনেকের সঙ্গে নানা সময় অশান্তিতে জড়িয়েছেন গোষ্ঠগোপাল।
আহত ব্যবসায়ীকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সুলতানপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মুক্তিপদ। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। মুক্তিপদ বলেন, “সকালে যখন গেটের তালা খুলি, তখনই আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। বরাত ভাল থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। তবে আমার উপর আবারও হামলা হতে পারে।’’
গোষ্ঠগোপাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি গুলি চালাইনি, আমার বন্দুক নিয়ে অন্য কেউ গুলি চালিয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, গোষ্ঠগোপাল বর্তমানে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। তাঁর বন্দুকের লাইসেন্স আছে। ওই বন্দুক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।