প্রচারের ফাঁকে ব্যবসায় জীবন। নিজস্ব চিত্র।
এত দিন চপ, কাটলেট, ছোলা বাটোরের স্বাদে মন জয় করেছেন এলাকার মানুষের। এ বার পালা, ভোটারদের মন জয়ের। বাঁকুড়ার বড়জোড়া পঞ্চায়েতের ৬২ নম্বর বুথে এ বার সিপিএমের প্রার্থী জীবন কুম্ভকার পেশায় চপ-কাটলেট বিক্রেতা।
সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় তোড়জোড়। চপ-কাটলেটের সঙ্গে জীবনের ঠেলায় সকালে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য টিফিনও মেলে। মূলত বাবাকে দেখে রাজনীতিতে আসা জীবন জানাচ্ছিলেন, ভোট-প্রচারের জন্য রোজনামচায় বদল এসেছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিক্রিবাটা চালিয়ে প্রচারে বেরোচ্ছেন। সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করার পরে ফের চলছে প্রচার।
তিনি বলেন, “২০১৬ সাল থেকে ব্যবসা চলছে। পাড়ার প্রায় সবাই দোকানে আসেন। সেখানে রাজনৈতিক কোনও কথা এড়িয়ে গেলেও ‘একটু দেখবেন’ বলতে দোষ নেই।” ভোটে লড়ার বাড়তি চাপ অনুভব করছেন? জীবনের কথায়, “পরিশ্রম করেসংসার চালাই। মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকারও চেষ্টা করি। প্রচারে আলাদা করে পরিশ্রম তেমন হচ্ছে না।”
জীবনের চপ, কাটলেটের স্বাদে ঘায়েল ভোট ময়দানে তাঁর প্রতিপক্ষরাও। তৃণমূল প্রার্থী, পেশায় শিক্ষক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বা বেসরকারি চাকুরে বিজেপি প্রার্থী সৈকত মণ্ডলেরা বলেন, “ওঁর চপ, কাটলেটের স্বাদই আলাদা। রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও এলাকার ভাল সবাই চাই আমরা।” তবে শেষমেষ জীবনের চপ, কাটলেটের স্বাদ ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলবে কি না, তাঁর চপ-কাটলেট সহযোগেই সে আলোচনায় মেতে এলাকাবাসী।