Mysterious Death In Bankura

বাঁকুড়ায় বন্ধ ঘর থেকে প্রৌঢ়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার, দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা

বৃহস্পতিবার সকালে পচা গন্ধ পেয়ে এলাকার মানুষ মন্টুর বাড়ির খোলা জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই দেখেন, তাঁর মৃতদেহ একটি খাটের উপর পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা খবর দেন বাঁকুড়া সদর থানায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সকাল থেকেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছিল উৎকট পচা গন্ধ। প্রথমে বিষয়টিকে তেমন আমল দেননি স্থানীয়রা। বেলা যত বাড়তে থাকে, ততই গন্ধের মাত্রা বাড়তে থাকে। গন্ধের উৎস খুঁজে এলাকার একটি বাড়ির খোলা জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই চক্ষু চড়কগাছ এলাকাবাসীর। তাঁরা দেখেন খাটের উপর পড়ে রয়েছে বাড়ির মালিকের পচাগলা মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার দোলতলা বাগদীপাড়ার এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম মন্টু গুঁই (৫৮)।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় আলুর ব্যবসায়ী মন্টু পরিবার নিয়ে বাঁকুড়া শহরের দোলতলা বাগদীপাড়া এলাকায় নিজের দোতলা বাড়িতে থাকতেন। লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে তাঁর স্ত্রী ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে জেলারই জয়পুরের হেতিয়া এলাকায় বাপের বাড়িতে যান। বাড়িতে একাই ছিলেন মন্টু। স্থানীয়দের দাবি, লক্ষ্মীপুজোর পর থেকেই আর এলাকায় দেখা যায়নি মন্টুকে। এলাকার সকলেই ভেবেছিলেন, মন্টু কোনও আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে পচা গন্ধ পেয়ে এলাকার মানুষ মন্টুর বাড়ির খোলা জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই দেখেন, তাঁর মৃতদেহ একটি খাটের উপর পড়ে রয়েছে। ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় তড়িঘড়ি স্থানীয়রা খবর দেন বাঁকুড়া সদর থানায়। পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মিলন মুখার্জী এই প্রসঙ্গে বলেন, “প্রায় এক সপ্তাহ মন্টুকে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই পাড়ায় পচা গন্ধ নাকে আসছিল। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তেই গন্ধে এলাকায় টেকা যাচ্ছিল না। উনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। আমাদের ধারণা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তি সাত দিন আগেই মারা গিয়েছেন।” এলাকার আর এক বাসিন্দা ডাবলি শর্মা বলেন, “মৃতদেহে যে ভাবে পচন ধরেছে, তাতে আমাদের ধারণা ৬-৭ দিন আগে অসুস্থতার কারণেই ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের স্ত্রীকে টেলিফোনে খবর দেওয়া হয়েছে।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অসুস্থতার কারণেই ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement