NEET

NEET Rank: নিটে রাজ্যে প্রথম বাঁকুড়ার সৌম্যদীপ, চান রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ হতে

ছোট থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন সোনামুখীর শ্যামবাজার এলাকার বাসিন্দা সৌম্যদীপ হালদার। সেই স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে এ বার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২১ ১৯:২৫
Share:

সপরিবার সৌম্যদীপ হালদার। —নিজস্ব চিত্র।

ছোটবেলায় দেখেছেন, বাবার ওষুধের দোকানে একাধিক চিকিৎসক প্রাকটিস করতে। তখন থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন বাঁকুড়ার সোনামুখীর শ্যামবাজার এলাকার বাসিন্দা সৌম্যদীপ হালদার। সেই স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে এ বার। তার প্রাথমিক ধাপ পেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। নিট পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে শীর্ষ স্থান দখল করেছেন সৌম্যদীপ। দেশের মধ্যে ঊনবিংশতম স্থানে। এই সাফল্যে এখন খুশির বন্যা হালদার পরিবারে।
বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের ছাত্র সৌম্যদীপ আগাগোড়া মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিত। ২০১৯ সালে দশম মানের পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ এবং চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৫.৬ শতাংশ নম্বর পান তিনি। চলতি বছরেই নিট পরীক্ষাতেও বসেন। সোমবার সন্ধ্যায় ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেশের মেধা তালিকায় ১৯তম স্থান পেয়েছেন তিনি। এ রাজ্যের নিরিখে তিনি প্রথম। সৌম্যদীপ বলছেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে দিল্লি এমস থেকে এমবিবিএস করে পরে রেডিওলজি নিয়ে পড়তে চাই। রেডিওলজি বিষয়টি আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয়। পরিবারেরও ইচ্ছে আমি তা নিয়েই পড়াশোনা করি। আগামী দিনে রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।’’

Advertisement

সৌম্যদীপের বাবা চন্দ্রভানু হালদার সোনামুখী শহরে ওষুধের ব্যবসায়ী। মা সমাপ্তি হালদার গৃহবধূ। ছেলের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা পরিবার। চন্দ্রভানু বলছেন, “ওর এই সাফল্য শুধু সোনামুখী শহর নয় গোটা রাজ্যের কাছে গর্বের। আমরা অত্যন্ত খুশি। আমি নিজে ওষুধের ব্যবসা করার সুবাদে অনেক চিকিৎসক চেনাজানা। তাঁদের খুব কাছ থেকে দেখে আসছি। মনে মনে আমার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে চিকিৎসক করে তুলব। প্রথম থেকেই ছেলেকে চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলতাম। আজ আমার সেই স্বপ্ন সফল হতে চলেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement