প্রতীকী ছবি।
বাঁকুড়ায় ভোররাতে বাড়ি থেকে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনার দু’দিনের মধ্যে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি ওই ঘটনাকে সামনে রেখে অশান্তির ছড়ানোর উদ্দেশ্যে নেটমাধ্যমকে যাঁরা ব্যবহার করছেন, তাঁদের উপরও কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৪ জুন ভোর রাতে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানা এলাকার একটি গ্রামে ন’বছরের ওই নাবালিকা বাড়িতে নিজের পিসির সাথে ঘুমাচ্ছিল। অভিযোগ ওই দিন পৌনে ৩টে নাগাদ মুখ কালো কাপড়ে বাঁধা অভিযুক্ত যুবক বাড়িতে ঢুকে তুলে নিয়ে যায় ওই নাবালিকাকে। পরে নাবালিকাকে পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিয়ে গিয়ে ওই যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সকালের আলো ফুটলে ওই নাবালিকা কোনওক্রমে বাড়িতে ফিরে এসে গোটা ঘটনার কথা জানায়।
অভিযোগ পেয়ে বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গণেশ বিশ্বাস ও বিষ্ণুপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কুতুবউদ্দিন খানের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে আলাদা করে তিন পুলিশ আধিকারিককে নিয়ে একটি সিট গঠন করে পুলিশ। ওই সিট ঘটনার তদন্তে নেমে বুঝতে পারেন অভিযুক্ত নির্যাতিতার পূর্ব পরিচিত। এরপরই বেলিয়াতোড় থানার হরিশপুর গ্রামের প্রশান্ত কিস্কুর বিরুদ্ধে সন্দেহ তীব্র হয় পুলিশের। তাকে সোনামুখী থানায় ডেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ওই যুবক অপরাধ স্বীকার করে বলে পুলিশের দাবি। এর পরেই ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার দু'দিনের মাথায় অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি তদন্তে বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছে পুলিশ মহল।
অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পাশাপাশি এ বার ওই ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি তৈরীর উদ্যেশ্যে যাঁরা সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে চলেছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘‘আমরা এই ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখেছিলাম। যখন ঘটনা ঘটেছিল সে সময় কিছু ব্যাক্তি ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনামূলক পোস্ট করে এক সম্প্রদায়ের সাথে অন্য সম্প্রদায়ের অশান্তি তৈরির চেষ্টা করেছিল। অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পর আমরা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’ তিনি জানান, ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যম অপব্যবহারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।