প্রতিযোগীরা। নিজস্ব চিত্র।
কেউ দিন আনা, দিন খাওয়া পরিবার থেকে উঠে আসা। কারও সংসার চলে মুদির দোকানে কাজ করে। শত কষ্টের মধ্যেও তাঁরা খেলার মাঠে যাওয়া ছাড়েননি। মিলল তারই পুরস্কার। ভাল খেলে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি পেলেন বোলপুরের ন’জন ভলিবল খেলোয়াড়। বৃহস্পতিবারই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বীরভূম পুলিশের উদ্যোগে জেলার প্রতিটি থানা এলাকায় টিম করে রাঙ্গামাটি কাপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই প্রতিযোগিতার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বোলপুর ও সিউড়ি থানা। ২-০ সেটে সিউড়ি থানাকে পরাজিত করেন বোলপুর থানার ভলিবল খেলোয়াড়রা। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইলামবাজারের কামারপাড়ায় জনসভা করেন। ওই জনসভা থেকে রাঙ্গামাটি কাপের জয়ী ও রানার্স দলগুলির হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়ই জয়ী এবং রানার্স দলের খেলোয়াড়দের সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়া হবে বলে ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কথাই রাখল প্রশাসন।
বীরভূম পুলিশের উদ্যোগে ওই খেলোয়াড়দের বিভিন্ন থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে নিয়োগ করা হল বৃহস্পতিবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ১৭১ জন খেলোয়াড়কে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়া হয়েছে। বীরভূম পুলিশের জঙ্গলমহল কাপ খেলার উদ্বোধনের দিনেই ওই খেলোয়াড়দের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। নিয়োগ পত্র পেয়ে খুশি বোলপুর এলাকার খেলোয়ারেরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এই সমস্ত ভলিবল খেলোয়াড়রা বোলপুরের এক ভলিবল আকাডেমি থেকে উঠে আসা। অরূপ চক্রবর্তী, মৃন্ময় ঘোষেরা বলেন, ‘‘বিভিন্ন সময়ে সংসারে অভাব-অনটন এসেছে। কিন্তু, আমরা কোনও দিন খেলা ছেড়ে দিইনি। এই চাকরিটা সত্যিই আমাদের প্রয়োজন ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।’’ ওই সংস্থার কোচ অনল দেবনাথ বলেন, ‘‘আমরা চাই আগামী দিনে
আরও বেশি সংখ্যক ছেলেমেয়ে খেলার প্রতি আগ্রহী হোক। যাতে আমরা জেলা ও রাজ্য স্তরে ভাল খেলোয়ার উপহার দিতে পারি।’’