ধৃত: আদালত চত্বরে এক ধৃত। নিজস্ব চিত্র
পাড়ুইয়ে বোমাবাজির ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপির মোট আট জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি সামাদ শেখ--সহ চার বিজেপি কর্মী। তৃণমূলের চার কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের সিউড়ি সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার পাড়ুইয়ের হাটতলায় বোমাবাজির ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্টভাবে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়াও আরও ৪ থেকে ৫ জন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে পুলিশ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। সরকারি আইনজীবী কেশব দেওয়াসী জানান, ঘটনার তদন্ত এবং আরও কিছু বোমা উদ্ধারের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু বিচারক সবদিক বিবেচনা করে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজেপি কর্মীদের পক্ষের আইনজীবী সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওঁরা ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে একটি ডেপুটেশনের জন্য আবেদন জমা দিতে থানায় গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁদের থানায় বসিয়ে রেখে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।’’ আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের কাছে বিজেপি নেতা সামাদ সেখ বলেন, ‘‘বোমাও আমরা খেলাম। আবার কেসও আমরা খেলাম।’’ এদিন সামাদ সেখ সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল সহ অন্যান্য নেতারা।
পাড়ুইয়ের ঘটনায় বিজেপি-তৃণমূল দু’পক্ষই একে অপরকে ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, ‘‘মুখে কাপড় বেঁধে দিনের আলোয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করল। আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হল। আসলে বোমা মারবে তৃণমূল আর জেল খাটবে পদ্মফুল এই তাঁদের নীতি।’’ তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি গুন্ডা দিয়ে এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করছে। থানায় স্মারকলিপি প্রদানের নাম করে পাড়ুইয়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে বিজেপি। সেই সময় আমাদের চারজন নিরীহ কর্মী রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। ধরপাকড়ের সময় পুলিশ ভুল করে তাঁদেরও গ্রেফতার করেছে।’’