সঙ্কটে শহর ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া

মশা ঠেকাতে চল্লিশ বাহিনী রামপুরহাটে

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় মশার দাপট। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্যের পুরসভাগুলির কাছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া ও এনসেফেলাইটিস রোধে এ বার জানুয়ারিতেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ এসেছিল নবান্ন থেকে।

Advertisement

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৭ ০২:৪৭
Share:

নালা ঢেকেছে আবর্জনায়। নিজস্ব চিত্র

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় মশার দাপট। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্যের পুরসভাগুলির কাছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া ও এনসেফেলাইটিস রোধে এ বার জানুয়ারিতেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ এসেছিল নবান্ন থেকে। মশার বংশবৃদ্ধি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকও। সরকার বলছে ডেঙ্গি, ‘ম্যালেরিয়ার মতো রোগের জীবাণু বাহক মশা মারতে তাঁদের কার্পণ্য নেই। খরচ হলেও নির্মূল করতে হবে এই পতঙ্গ বাহিত রোগগুলি।’

Advertisement

রামপুরহাট পুরসভা রোগ দূর করতে কি উদ্যোগ নিয়েছে?

পুরসভা ও রামপুরহাট জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানাচ্ছে, তৈরি হয়েছে ৪০টি দল। দলগুলি পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ডেঙ্গি ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে কাজ করছে। ইতিমধ্যে সেই দলের তালিকা প্রস্তুত। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা তাঁদেরকে একদিনের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তারপরেই বাহিনী তাঁদের কাজে নেমে পড়েছেন। এ তো এই বছরের কর্মসূচি। গত বছরে এই গরমের সময় ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে পুরসভা কতটা তৎপর ছিল?

Advertisement

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ব্রজেশ্বর মজুমদার বলেন, ‘‘রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় গত বছর ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়াতে মৃত্যুর কোনও খবর নেই। ম্যালেরিয়ার প্রকোপ যদিও ছিল। সেটা স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা ব্যবস্থা নিয়ে প্রকোপ কমাতে সক্ষম হয়।” তিনি জানান, ডেঙ্গি সন্দেহে এনএসওয়ান টেস্টে কোনও পজিটিভ পাওয়া যায়নি বলে জানান। কিন্তু, শহরের নিকাশি নালা পরিস্কার রাখতে পুরসভা কতটা তৎপর?

শহরের ১৮টি ওয়ার্ড ঘুরলে দেখা যাবে কম বেশি সব ওয়ার্ডেই নিকাশি নালাগুলিতে জল জমে আছে। ধূলাডাঙা রোডে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে যেখানে বস্তি আছে সেখানে নিকাশি নালাতে দেখা গেল নালা সমান জল জমে আছে। মশা সেখানে ডিম পাড়ছে। ৭ নম্বর
ওয়ার্ডের বগটুই মোড়ে নিকাশি নালা আবর্জনা ভর্তি থাকার জল জম আছে। পুরসভা সূত্রে খবর, রামপুরহাট পুরসভা কেবলমাত্র নিকাশি নালা পরিস্কার, ওয়ার্ডে ঝাঁট দেওয়া, ময়লা তুলে ফেলার জন্য প্রতি মাসে ১৮টি ওয়ার্ডের জন্য পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়। তবুও শহরের নিকাশি নালাগুলির এমন হাল।

পুরসভার স্যানিটরি ইন্সপেক্টর সুশেন মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রতিটি ওয়ার্ডে সব জায়গায় একই দিনে সব লেবার কাজ করতে পারে না।’’

উপপুরপ্রধান সুকান্ত সরকার বলেন, ‘‘গত বছর বর্ষার আগে এলাকার ঝোপ জঙ্গল পরিস্কার করা হয়েছিল। প্রতিটি ওয়ার্ডে স্প্রে করা হয়। সম্প্রতি ১৮টি ওয়ার্ডে জীবাণুুনাশক স্প্রে করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement