আলিয়া ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
‘জিগরা’ ছবির প্রচারের কাজে এখন ব্যস্ত অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। তারই মাঝে নিজের এক বিরল রোগের কথা জানালেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে নায়িকা বলেন, ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিজ়অর্ডার’-এ আক্রান্ত তিনি।
বিয়ের দিনের কথা মনে করিয়ে অনুরাগীদের সঙ্গে একটি ঘটনা ভাগ করেন আলিয়া। তিনি বলেন, ‘‘আমার বিয়ের দিন, আমার রূপটানশিল্পী পুনিত বলেছিলেন, আলিয়া, এ বার তোমার আমাকে দু’ঘণ্টা সময় দিতেই হবে। আমি ওকে বলি, তুমি তা হলে কাজটাই হারাবে। আমি তোমায় কখনও দু’ঘণ্টা দেব না। আমি আমার বিয়েটা ভাল করে উপভোগ করতে চাই।’’ সাক্ষাৎকারে আলিয়া তার রূপটানশিল্পীকে আরও বলেন, ‘‘৪৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে আমি মেকআপের চেয়ারে বসতে পারব না। খুব তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে পারবে এমন মেকআপ করে দাও। আমার ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিজ়অর্ডার’ আছে, তাই কোনও কাজেই খুব বেশি সময় খরচ করার আগ্রহ আমার থাকে না। যা করতে হবে, তাড়াতাড়ি করতে হবে।’’
আলিয়ার এই স্বীকারোক্তির পর থেকেই তাঁর অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন জাগতে শুরু করে, ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিজ়অর্ডার’ রোগটি ঠিক কী? ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিজ়অর্ডার’ মস্তিষ্কের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ব্যাধি। শৈশবকাল থেকেই শিশুদের আচরণের মধ্যে বিশেষ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। তাদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং মনোযোগের অভাব হয়, অতিসক্রিয়তা লক্ষ করা যায়। এ ক্ষেত্রে শিশুরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হয়। বয়স বাড়লেও এই লক্ষণগুলি থেকে যায়।
শিশুদের মধ্যে আর কোন লক্ষণগুলি দেখলে সতর্ক হবেন বাবা-মায়েরা?
১. পড়াশোনায় মনোযোগের অভাব ও দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে অসতর্ক হওয়া
২. দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে থাকতে না পারা
৩. সারা ক্ষণ অন্যমনস্ক থাকা
৪. চঞ্চল, অস্থির এবং সহজেই বিরক্ত হওয়ার প্রবণতা
৫. অতিরিক্ত কথা বলা, কথা বলার সময় অন্যদের বাধা দেওয়ার প্রবণতা
৬. ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে না পারা
‘সেন্টারস ফর ডিজিজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বের প্রায় ৭.২ শতাংশ শিশুর মধ্যে এই রোগের লক্ষণ ধরা পড়ে। মেয়েদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি হলেও ছেলেরাও এই রোগে আক্রান্ত হয়।