সিমলাপালের আশ্রম-কাণ্ড নিয়ে হইচইয়ের পরেই সেখানকার আবাসিকদের হোমে পাঠিয়েছিল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। এ বার সেই শিশু-কিশোরদের বাড়ি ফেরানো শুরু হল। শুক্রবার চাইল্ড লাইনের উদ্যোগে বাড়ি ফিরল সিমলাপাল আশ্রমের ৪০ জন শিশু। ওই শিশু ও কিশোরদের সবার বাড়ি মানবাজার, বোরো এবং বান্দোয়ান থানা এলাকায়। তাদের বয়েস ৭ থেকে ১৩ বছর।
পুরুলিয়া চাইল্ড লাইনের সদস্য ঝর্না মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিমলাপালের আশ্রমের ভিতরের ঘটনা প্রকাশিত হতেই শিশুদের অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৬ জন মেয়ে রয়েছে। পুরুলিয়ার জেলাশাসকের উদ্যোগে শুক্রবার রাতে শিশুদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’’
কয়েকমাস আগে সিমলাপালের আমডাঙার আশ্রম থেকে কয়েকজন কিশোর আত্মীয়ের বাড়িতে পালিয়ে গিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁদের উপরে সেখানকার হস্টেলে যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে। পুলিশের অভিযোগ দায়ের হয়। একে একে আশ্রমের তিনজন সন্ন্যাসী গ্রেফতার হয়। পরে দু’জন জামিন পায়। ইতিমধ্যে ওই আশ্রমকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। অন্য একটি হস্টেলে কয়েকজন মেয়ে থাকত। তাদের কাছ থেকে অবশ্য কোনও অভিযোগ শোনা যায়নি। সব আবাসিকদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হোমে। ঘটনার আলাদা ভাবে তদন্ত করছে বাঁকুড়া পুলিশ ও প্রশাসন। পুরুলিয়ার জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘চাইল্ড লাইন শিশুদের উদ্ধারে ভাল কাজ করেছে। প্রত্যেক অভিভাবকদের পরিচয়পত্র যাচাই করে তাদের ছেলেমেয়েদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’’
বধূর অপমৃত্যু। শ্বশুরবাড়িতে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় এক বধূর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। হিড়বাঁধের রাঙা গ্রামের ঘটনা। মৃতার নাম মিঠু গোপ মণ্ডল (৩২)। শুক্রবার রাতে দেহটি উদ্ধার করা হয়। শনিবার বাঁকুড়া মেডিক্যালে দেহটির ময়নাতদন্ত করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে বাঁকুড়া সদর থানার কাশীবেদা গ্রামের মিঠুর সঙ্গে বিয়ে হয় হিড়বাঁধের রাঙা গ্রামের বিদ্যুৎ গোপ মণ্ডলের। ওই বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দাবি, শুক্রবার গভীর রাতে সবার অগোচরে মিঠু গলায় দড়ি দেন। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মহত্যা, না খুন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।