প্রতীকী ছবি।
বাঁকুড়া সংশোধনাগারে নতুন করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১। আক্রান্তেরা সবাই বন্দি বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। বাঁকুড়া সংশোধনাগারের এক আধিকারিক বলেন, “জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শমতো সেফ হাউস গড়ে করোনা-আক্রান্ত বন্দিদের পৃথক ভাবে রাখা হচ্ছে।”
কিছু দিন আগেই বাঁকুড়া সংশোধনাগারের এক বন্দির শরীরে করোনা সংক্রমণ মিলেছিল। বর্তমানে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি ওন্দা সুপার স্পেশালিটিতে চিকিৎসাধীন। অন্য বন্দিদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না, তা জানতে রবিবার সংশোধনাগারে একটি দল পাঠায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ‘র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট’ দিয়ে পরীক্ষা করে ওই দিন দুপুর পর্যন্ত কুড়ি জন বন্দির মধ্যে করোনা সংক্রমণ মিলেছিল। পরে সেই সংখ্যা আরও বাড়ে।
বাঁকুড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সরেন বলেন, “মোট ৩১ জন বন্দির মধ্যে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তবে তাঁদের মধ্যে উপসর্গ দেখা যায়নি। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে কারাগারের সেলেই সেফ হাউস বানিয়ে আক্রান্তদের রাখতে বলেছি।” তিনি জানান, সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের নিজস্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরও যোগাযোগ রাখছে। যে কোনও সমস্যায় দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।
এ দিকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে নতুন করে দু’জন রোগীর শরীরে করোনা সংক্রমণ মিলেছে। হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, “সোমবার দুপুরে হাসপাতালের দুই রোগীর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। আক্রান্তদের ওন্দা সুপার স্পেশালিটিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আপাতত হাসপাতালের কোনও বিভাগ বন্ধ নেই।”
রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশ করা বুলেটিন অনুযায়ী, বাঁকুড়া জেলায় নতুন করে ১০৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বাঁকুড়ার পুরপ্রশাসক তৃণমূলের মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, “রবিবারের সরকারি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া পুর-এলাকায় নতুন করে ২৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা আক্রান্তদের চিহ্নিত করে, তাঁদের পরিবার ও পড়শিদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছি।”