রঘুনাথপুর থানায়। ছবি: সঙ্গীত নাগ
সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিকের পরে, এ বারে রঘুনাথপুর থানার এক আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হলেন। সোমবার রাতে সাব ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার ওই পুলিশকর্মীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। বিডিও (রঘুনাথপুর ১) অনির্বাণ মণ্ডল বলেন, ‘‘রঘুনাথপুর থানার ওই পুলিশ আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উপসর্গ না থাকায় তাঁকে আপাতত থানার পাশে পুলিশ আবাসনের কোয়ার্টারে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে।” অন্য দিকে, আদ্রার বাসিন্দা এক আরপিএফ ইনস্পেক্টরও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আদ্রাতেও এক রেলকর্মী-সহ দু’জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে আদ্রা থানা এলাকায় করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ২০।
পুলিশ সূত্রে খবর, রঘুনাথপুর থানার ওই কর্মীর কোয়ার্টার লাগোয়া এলাকা ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ করা হয়েছে। ওই এসআই-এর গত ৩০ জুলাই জ্বর আসে। লালারসের নমুনা পরীক্ষার পরে, সোমবার রাতে আসা রিপোর্টে দেখা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত। তার পরে রঘুনাথপুরের আইসি সহ দফায় দফায় পুরো থানার জনা পঞ্চাশ পুলিশকর্মীর সকলেই লালারসের নমুনা পরীক্ষা করানো শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আবাসন-সহ পুরো থানা জীবাণুমুক্ত করেন দমকলকর্মীরা। অন্য দিকে, আরপিএফের আধিকারিক আরপিএফ ব্যারাকের যে অংশে থাকতেন, সেখানেও ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ করা হয়েছে।
অন্য দিকে, আদ্রা আরপিএফের এক ইনস্পেক্টর জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন আদ্রার রেলের হাসপাতালে। সেখানেই লালারসের নমুনা পরীক্ষা করানোর পরে, রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল পুরুলিয়া শহরের কোভিড-হাসপাতালে। পরে তাঁকে পাঠানো হয়েছে বাঁকুড়ার ওন্দার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এ ছাড়া, রেলের কন্ট্রোল বিভাগের কর্মী আদ্রার লোয়ার বেনিয়াশোল এলাকার এক বাসিন্দা ও চুড়িমহল্লা এলাকার এক জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের রিপোর্ট মিলেছে বলে জানান বিডিও অনির্বাণবাবু।