—ফাইল চিত্র।
বাঁকুড়ায় গুলিকাণ্ডের প্রায় ২০ ঘণ্টার পর বুধবার ঘটনাস্থল থেকে একটি কাদায় মাখামাখি গুলিভর্তি বন্দুক উদ্ধার হলেও এখনও অধরা হামলাকারীরা। ঘটনার পর থেকে সর্বত্র কড়া নাকা চেকিং চললেও বুধবার বিকেল পর্যন্ত হামলাকারীদের নাগাল পায়নি পুলিশ। এ দিকে মঙ্গলবার ঘটনাস্থল থেকে পলাতক সাদ্দামেরও বুধবার বিকেল পর্যন্ত কোনও খোঁজ না মেলায় গুলিকাণ্ডের নেপথ্য-কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা।
মঙ্গলবার দিনে দুপুরে গুলিকাণ্ডের ঘটনার পর বুধবারও বাঁকুড়া শহর লাগোয়া কেশিয়াকোল এলাকা ছিল বেশ থমথমে। বুধবার দিনভর মাঝে মধ্যেই পুলিশের গাড়ি এসে থেমেছে ঘটনাস্থলের আশপাশে। অন্যান্য দিন এই রাস্তা দিনভর ভিড়ে ঠাসা থাকলেও বুধবার বিশেষ কাজ না থাকলে ওই রাস্তায় তেমন পা মাড়াননি সাধারণ পথচলতি মানুষ। স্বাভাবিক ভাবেই ওই রাস্তা দিনভর ছিল মোটের উপর ফাঁকা। তবে বুধবার ঘটনাস্থলের একেবারে পাশেই রাস্তার ধারে একটি পিস্তল উদ্ধারের ঘটনায় সাময়িক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা কাদার মধ্যে পিস্তলটিকে পড়ে থাকতে দেখে বাঁকুড়া সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পিস্তলটি উদ্ধার করে।
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, আততায়ীরা এলাকা ছেড়ে পালানোর সময় ওই পিস্তল ফেলে রেখে চম্পট দেয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে একেবারে প্রকাশ্যে পড়ে থাকা পিস্তল উদ্ধারে পুলিশের কেন এতটা সময় লাগল, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাস্তার ধারে জল ও কাদার মধ্যে বন্দুকটি গেঁথে থাকায় সেটি প্রথমে সকলেরই নজর এড়িয়ে গিয়েছিল। বুধবার ঘটনাস্থল থেকে বন্দুক উদ্ধারের পাশাপাশি এ দিন আহতদের পড়ে থাকা রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করেছে পুলিশ। রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে পলাতক সাদ্দাম আহত কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ। এ দিকে আততায়ীদের চিহ্নিত করতে বাঁকুড়া শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে থাকা সমস্ত সিসি ক্যামেরার ছবি সংগ্রহ করে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে পুলিশ। পথচারী ও বাইক আরোহীদের কাউকে সন্দেহজনক মনে হলেই তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আততায়ীরা পালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে নির্দিষ্ট রুট ব্যবহার করেছিল, সেই রুটে নির্দিষ্ট ওই সময়ের মোবাইল টাওয়ার লোকেশান সংক্রান্ত তথ্য খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।