Arrest

তৃণমূল নেতাকে ‘খুনের ছক’, ধৃত আরও দুই

পুলিশে জানিয়েছে, ধৃতেরা হল, শেখ জামিরুল ওরফে ওমর আলি, হাপিজুল  শেখ এবং নাসিম শেখ। প্রত্যেকের বাড়ি  নানুর থানার সাওতা গ্রামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২০ ০৫:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

‘সুপারি’ নিয়ে নানুরে শাসকদলের এক নেতাকে খুনের ছকে যুক্ত থাকার অভিযোগে শান্তিনিকেতন থেকে গ্রেফতার হয়েছে চার বাংলাদেশি-সহ ছয় জন। পুলিশে হেফাজতে থাকা ধৃতদের জেরা করে ওই ‘ছকে’ যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশে জানিয়েছে, ধৃতেরা হল, শেখ জামিরুল ওরফে ওমর আলি, হাপিজুল শেখ এবং নাসিম শেখ। প্রত্যেকের বাড়ি নানুর থানার সাওতা গ্রামে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বোলপুরের এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী শ্যামসুন্দর কোনার জানান, ধৃতদের ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। বিচারক ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। সরকারি আইনজীবীর সংযোজন, পুলিশ জেরায় জেনেছে, নানুরের ওই নেতাকে খুনের পরিকল্পনার পিছনে একটা বিরাট চক্র কাজ করছিল। তারই সূত্র ধরে ধরে এই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কারা ওই ‘ষড়যন্ত্রে’ যুক্ত ছিল, অস্ত্র ও বিস্ফোরক কোথায় রেখেছে, সেটা খুঁজে দিতে পুলিশকে সাহায্য করবে ধৃতেরা বলে আদালতকে পুলিশ জানিয়েছে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে শান্তিনিকেতন থানা এলাকার তালতোড় গ্রামের নির্জন একটি বাগান বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক সহ চার বাংলাদেশি দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ। নানুরের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা কাজ শেখকে খুনের ‘সুপারি’ নিয়ে ওই দুষ্কৃতীরা অবৈধ ভাবে এখানে এসে গা ঢাকা নিয়ে ছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই সৈয়দ আনোয়ার আলি এবং শেখ কাজল নামে শান্তিনিকেতন থানা এলাকায় বসবাসকারী দুই যুবককে গ্রেফতার করে। যাদের আসল বাড়ি নানুরের পাপুড়িতে। বুধবারের পর মোট গ্রেফতারির সংখ্যা হল নয়।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, জেরায় আনোয়ার ও কাজল তাদের জানিয়েছিল, তৃণমূল নেতা কাজ শেখের ‘দাপটে’ পাপুড়ি গ্রামের বেশ কিছু পরিবারকে ‘ঘরছাড়া’ হয়ে থাকতে হচ্ছিল বলেই তাঁকে খতম করার ছক কষা হয়েছিল। আনোয়ারদের পরে ফের নানুর ব্লকের আরও তিন জনকে গ্রেফতার করার ঘটনা পুলিশের সেই দাবিকেই প্রতিষ্ঠিত করছে। পুলিশেরই একটি সূত্র জানাচ্ছে, ধৃত আনোয়ার ও কাজলের সঙ্গে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার পিছনে মেদিনীপুর জেলে বন্দি, লাভপুরের এক দুষ্কৃতীর হাত রয়েছে। বুধবার যারা ধরা পড়েছে, তারাও কুখ্যাত ওই অপরাধীর পরিচিত বলেই জেনেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, সময় মতো বাংলাদেশিদের ধরা গিয়েছে। কাজ হাসিল করে বাংলাদেশে ফিরে যেতে পারলে দুষ্কৃতীদের নাগাল পাওয়া দুষ্কর হত।

তবে শুধু মাত্র ওই নেতাকে খুন করাই উদ্দেশ্য ছিল না আরও কোনও মতলব ছিল দুষ্কৃতীদের? নেপথ্যে আর কারা? জঙ্গি যোগ আছে কিনা— ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে জেলা পুলিশ এবং এসটিএফ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement