উদ্বিগ্ন পরিবার। —নিজস্ব চিত্র।
নদীতে স্নানে নেমে তলিয়ে গেল দুই নাবালিকা।
শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ সাঁইথিয়ার কুতুবপুরের ঘটনা। নাম ববি সাউ ও বুলু গুপ্ত। দু’জনেরই বাড়ি সাঁইথিয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘন্টা খানেকের মধ্যে জলে তলিয়ে যাওয়ার খবর জানতে পারেন বাড়ির লোকজন। স্থানীয়দের দাবি, গত দু’দিন ধরে নদীতে জল ছেড়েছে।
ঘটনা হল, নদীর যত্রতত্র বালি তোলার কারণে অনেক জায়গা গভীর খাদে পরিণত হয়েছে। সম্ভবত ওই বালি খাদের জমা জলেই তলিয়ে গেছে দুই নাবালিকা। এ দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত, ১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুক্লা মণ্ডলের স্বামী সঞ্জীত মণ্ডল ও মিঠু কোনাইয়ের স্বানী সঞ্জয় কোনাই, ওসি সুজয় টুঙ্গা-সহ অন্য পুলিশ কর্মীরা। ভিড় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাঁইথিয়া দু’নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুনীতা গুপ্তর এক আত্মীয়ের বাড়ি কুতুবপুরে। ওই আত্মীয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রতিবেশী সুনীল গুপ্ত, তুলসি ডোমদের পরিবারেরও আমন্ত্রণ ছিল। আত্মীয়র বাড়ির কাছাকাছি নদী। বেলা ১১টা নাগাদ সকলে মিলে সেখানে যায়। দুপুর দুটো নাগাদ, সুনীতাদেবীর মেয়ে বছর ছ’য়েকের বুলু গুপ্তা ও সুনীল সাউয়ের মেয়ে বছর এগারোর ববি সাউ স্নান করতে যায়। সঙ্গে ছিল আরও কয়েকজন। বাড়ির লোকের দাবি, তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে নদীতে স্নান করতে যায়। কিছুক্ষন পর বাড়ির লোকেরা জানতে পারেন পাঁচজন মিলে নদীতে স্নান করতে গেছে। খোজ করতে গিয়ে তাঁরা দেখেন, ববি সাউ ও বুলু গুপ্ত নিখোঁজ। ববি সাউয়ের ভাই ভোলাও ডুবে গিয়েছে। জল থেকে উঠছে দু’জন। সুনীল বাবুরা বলেন, ‘‘কোনওমতে ভোলাকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ববি আর বুলুর কোনও খোঁজ পাইনি!’’
স্থানীয়দের দাবি, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নদীর যত্রতত্র খেয়াল খুশি মতো বালি তোলার জন্যই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। নদী থেকে বালি তোলার ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পুলিশ জানায়, প্রশাসনের সর্বস্তরে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে লোকজন এখনও এসে পৌঁছয়নি। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘লাভপুর থেকে স্পিড বোর্ট আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে রবিবার সকালের আগে এসে পৌঁছবে না।’’