দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ইন্দাস থানার পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
একটি টোটো চুরির অভিযোগের তদন্ত করতে পাঁচটি চোরাই টোটো উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল আন্তঃজেলা টোটো চুরির সঙ্গে যুক্ত চক্রের দুই অভিযুক্তকে। আন্তঃজেলা টোটো চুরি চক্রের দু’জনকে পাকড়াও করার ঘটনাকে বড় সাফল্য বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৩ এপ্রিল ইন্দাস থানা এলাকা থেকে রাতের অন্ধকারে একটি টোটো চুরি হয়। ২৪ এপ্রিল টোটো মালিকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে ইন্দাস থানার পুলিশ। অভিযোগ দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং অকুস্থলের আশপাশ এলাকায় মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে এক দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা। তার পর নিজেদের সূত্র কাজে লাগিয়ে পুলিশ ওই রাতেই ইন্দাস থানার সাহসপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে হুগলির বাসিন্দা শেখ হাসান আলি নামে এক দুষ্কৃতীকে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ওই চোরাই টোটো নিয়ে গিয়ে পূর্ব বর্ধমানেরর কালনায় বিক্রির পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। নির্দিষ্ট তথ্য হাতে পেতেই গত ২৭ এপ্রিল কালনায় নিমাই সাঁতরার গ্যারাজে হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে নিমাই সাঁতরা নামে আরও এক জনকে গ্রেফতারের পর উদ্ধার করা হয় চারটি চোরাই টোটো। পরে ধৃত নিমাইকে সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার রোল এলাকার একটি গোপন আস্তানা থেকে আরও একটি চোরাই টোটো উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনা নিয়ে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস বলেন, ‘‘এই চক্রটি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় টোটো চুরির ক্ষেত্রে গত এক বছর ধরে সক্রিয় ছিল। চক্রে যুক্ত এই দু’জন ছাড়াও আরও এক জনের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামিদিনে আরও চোরাই টোটো উদ্ধার করতে পুলিশ সক্ষম হবে।’’