ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।
উত্তর দিনাজপুরের শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকায় গরমিলের পিছনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থার দাবি জানাল জেলার প্রধান শিক্ষক ফোরাম। শুক্রবার এই দাবি নিয়ে জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনার দ্বারস্থ হয় প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনটি।
পরে জেলাশাসক বলেন, ‘‘বিষয়টি শিক্ষা দফতরেরও নজরে এসেছে। প্রধান শিক্ষকদের দাবি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’’
আনন্দবাজারের অন্তর্তদন্তে সামনে এসেছে, জেলার উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকদের শূন্য পদ ১৫৩টি। অথচ এই স্তরেই নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন ৫৯৪ জনকে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে অনেকই নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন।
গত ১৩ এবং ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁদের অনেকে যোগ দিতে গিয়ে দেখেন, মাধ্যমিক স্তরে শূন্য পদ থাকলেও, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ওই পদের অস্তিত্বই নেই। এর পরে স্কুলের মোট শিক্ষক পদ অপরিবর্তিত রেখে মাধ্যমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিকস্তরে শিক্ষক পদ উন্নীত (কনভার্সান) করে অনেক শিক্ষকের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়। এই পদ্ধতিতেই দুই শিক্ষককে কাজে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে গিয়ে ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলে তুলকালাম হয়। এর পরেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কনর্ভাসানকে বেআইনি ঘোষণা করেন। শিক্ষা দফতর জানায়, নতুন আইনে এ ভাবে পদ উন্নীত করা যায় না। জেলা প্রধান শিক্ষক ফোরামের পক্ষে বলা হয়, যাঁরা এই কাণ্ড ঘটালেন, তাঁরা যেন শাস্তি পান, তা দেখুক প্রশাসন।