ভোট শেষ হলেও সপ্তাহের শুরুতে গণপরিবহণ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে। — ফাইল চিত্র।
শনিবার শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। তার পরও শহর ও শহরতলিতে গণপরিবহণ পরিষেবা স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলেই মনে করছে বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলি। গত সপ্তাহ থেকে ভোটের কাজের জন্য বেসরকারি বাস মিনিবাস ট্যাক্সি সহ নানা যানবাহন ভাড়া নিতে শুরু করে নির্বাচন কমিশন। তার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে গণপরিবহণ পরিষেবায় সমস্যা দেখা দেয়। যার জেরে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। কিন্তু ভোট শেষ হলেও সপ্তাহের শুরুতে গণপরিবহণ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে। কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, নির্বাচনের কাজে ভাড়া নেওয়া গাড়ি ভোটগ্রহণের পর ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনও সব গাড়ি ফিরে আসেনি। তাই ইচ্ছে সত্ত্বেও, গণপরিবহণ পরিষেবায় নিজেদের বাস, ট্যাক্সি রাস্তায় নামাতে পারছেন গাড়ির মালিকেরা। গণপরিবহণ সংগঠনগুলির একাংশের মতে, মঙ্গলবার রয়েছে ভোটের গণনা। ভোটের গণনা শেষ হলেই সব গাড়ি আগামী বুধ বা বৃহস্পতিবারের মধ্যে ফিরে আসবে। তার পরেই রাজ্যের সর্বত্র গণপরিবহণ পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।
তবে বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠন সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসেস-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘শুধু নির্বাচন কমিশন বাস ভাড়া নিয়েছে বলেই যে রাস্তায় বাস কমেছে, তেমনটা নয়। বিভিন্ন বাসে যাঁরা ড্রাইভার বা কন্ডাক্টরের কাজ করেন, তাঁদের বেশির ভাগই আসেন দূরদূরান্তের জেলা থেকে। ভোটের সময় তাঁরা গাড়ি চালানোর কাজ ছেড়ে ভোট দিতে গ্রামে গিয়েছেন। অনেকেই ভোটগণনার পর ফিরতে চান। তাই তাঁদের ফিরে আসা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে।’’
পরিবহণ দফতরের একাংশের বক্তব্য, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সময় গণপরিবহণ পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে না জেনে অতিরিক্ত বাস চালানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। তাই সাধারণ মানুষের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবুও অভিযোগ যখন উঠেছে, তখন বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে গণপরিবহণ পরিষেবাকে সাবলীল হতে দেখা যাবে বলে দাবি করেছে বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠনের একাংশ।