প্রতীকী চিত্র।
দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা নেতাদের শুক্রবার বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়ে দিলেন, চোপড়ায় কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে প্রার্থী বাছাই নিয়ে না ভেবে গৌড়বঙ্গের জেলায় জেলায় দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতেও নির্দেশ দিলেন তাঁরা। জোর দিতে বললেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও বিদ্যুতের বিল নিয়ে মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্ষোভের উপরে। আরও জানালেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা উপভোক্তারা ঠিক মতো পাচ্ছেন কিনা, সেই টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠছে কিনা, তা-ও যেন দেখেন জেলা নেতারা।
অমিত শাহ ও জেপি নড্ডার ডাকা বৈঠকে বৃহস্পতিবার থেকেই দিল্লিতে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের সাত সাংসদ ও আট জেলা সভাপতি। আগের দিন বৈঠক হয়েছে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়িকে নিয়ে। এ দিন বৈঠকে ডাকা হয় গৌড়বঙ্গের তিন জেলার নেতা-সাংসদদের। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, চোপড়ায় কিশোরী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আন্দোলন চালাতে হবে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই ঘটনাকে ‘ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন, দাবি বিজেপির উত্তর দিনাজপুরের জেলা নেতৃ্ত্বের। এই নিয়ে আন্দোলনে নেমে দোষীদের গ্রেফতার ও ধৃত বিজেপি নেতাদের মুক্তির দাবি জানাতে বলেন তাঁরা। ইসলামপুর পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পরে জানিয়েছে, ছেলে ও মেয়েটি যুগলে আত্মঘাতী হয়েছে। মেয়েটির মৃত্যুর পরে গোলমালে যুক্ত থাকার অভিযোগে এ দিন ফালাকাটা থেকে সুবোধ সরকার নামে বিজেপির এক নেতাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
এ দিন মূলত বৈঠক করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন। ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় নেতারা এদিন বৈঠকে জানিয়ে দেন যে, তাঁরা যে আলোচনা করছেন তা অমিত ও নড্ডারই আলোচনার সূত্র ধরেই। জানা গিয়েছে, এদিন দু'দফায় বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সেই বৈঠক চলে।
সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে তিন জেলায় সাংগঠনিক যে সমস্ত দুর্বলতা রয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং সেই দুর্বলতা কাটাতে কী করণীয়, তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল ও পিকের লোকেরা কী কাজকর্ম করছে, সেদিকেও খেয়াল রাখার কথা জানানো হয়েছে। এই বৈঠকে থাকা গৌড়বঙ্গের এক বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই দলের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বুথকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। বুথ ঠিক থাকলেই জয় নিশ্চিত।’’