বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদে সিপিএম। বর্ধমানে। —নিজস্ব চিত্র।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগকে সামনে রেখে রবিবারও রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রইল। বিষয়টি নিয়ে ফের সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেও দিল্লির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
বাংলাদেশে এক সংখ্যালঘু মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থার অভিযোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সুকান্তের বক্তব্য, ‘এই ধরনের ঘটনা স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার উপরে মারাত্মক হামলা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিষয়টি খেয়াল রাখা দরকার।’ সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণকে ‘মানবতা-বিরোধী’ বলেও তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এ দিকে, ‘হিন্দু জাগরণ মঞ্চে’র ডাকে পশ্চিম বর্ধমানের বার্নপুর, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে এ দিনও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। বার্নপুরের মিছিলে যোগ দিয়ে আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্য, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সে দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না। হিন্দুদের কিছু হলে ভারতবর্ষ পাশে দাঁড়াবেই।” বাগদার হেলেঞ্চায় হিন্দু সংহতি ও মতুয়াদের পক্ষ থেকেও মিছিল হয়েছে।
বাংলাদেশ-প্রশ্নে কেন্দ্রের পদক্ষেপকেই দল সমর্থন করবে বলে এ দিন ফের বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে সেই সঙ্গেই কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর বক্তব্য, “বিজেপির কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, না কি তাঁদের উপরে আক্রমণটা কাজে লাগিয়ে এখানে মেরুকরণ করাটা অগ্রাধিকার?”
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণের প্রতিবাদে এবং সে দেশে সব মানুষের অধিকারের সুরক্ষার দাবিতে নানা জেলায় এ দিনও পথে নেমেছিল সিপিএম। সূত্রের খবর, নানা এলাকায় সিপিএমের এরিয়া কমিটির যে সম্মেলন চলছে, সেখানেও বাংলাদেশ বিষয়ে জোরদার প্রতিবাদের দাবি উঠছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও বলেছেন, “যে কোনও জায়গায় সংখ্যালঘুকে দেখার দায়িত্ব সেই রাষ্ট্রের এবং সেখানকার সংখ্যাগুরুর। তবেই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য থাকবে।”
চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর নিঃশর্ত মুক্তি ও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে বনগাঁয় প্রতিবাদ মিছিল করেছে আইএসএফ। বাংলাদেশ-সহ সারা বিশ্বে সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বনগাঁয় নাগরিক সমাজও পথসভা করেছে।