আদালতের বাইরে। নিজস্ব চিত্র
বিক্ষোভে কুশপুতুল পোড়াতে গিয়ে ধৃত শিলিগুড়ির ছাত্রী সুকৃতি আস মুক্তি পেলেন অন্তর্বর্তী জামিনে। পুলিশকর্মীদের গায়ে কেরোসিন তেল ঢালার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল এসএফআইয়ের দার্জিলিং জেলা কমিটির সদস্য সুকৃতীকে। পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসকদের দেখানো হয়। এই অবস্থায় রবিবার সুকৃতির আইনজীবীর আবেদন শুনে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁর অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে এ দিন রাজ্য জুড়ে কুশপুতুল পুড়িয়েই বিক্ষোভ দেখিয়েছে সিপিএমের যুব ও ছাত্র সংগঠন। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘পুলিশকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগে সুকৃতিকে গ্রেফতার করেছিল প্রতিহিংসাপরায়ণ প্রশাসন। ছাত্র ও যুবদের আন্দোলনের চাপেই তাঁর আপাতত মুক্তি হল।’’
ওই ছাত্রীর আইনজীবী পার্থ চৌধুরী বলেন, ‘‘সুকৃতি পুলিশকর্মীদের গায়ে কেরোসিন ঢালতে চাননি। কুশপুতুলের উপরে তেল ছেটাতে গিয়ে তা পুলিশকর্মীদের গায়ে গিয়ে পড়ে।’’ জামিনের পরে সুকৃতিও বলেন, ‘‘আদালতের রায়ে আমি খুশি। পুলিশকে মারার কোনও উদ্দেশ্য আমার ছিল না। কুশপুতুলে তেল ছেটাতে গিয়ে তা অফিসারদের গায়ে পড়েছিল। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আন্দোলন করছিলাম।’’ জামিনের পরে তাঁকে আদালত থেকে বাড়িতে নিয়ে যান শিলিগুড়ির বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘বিচারব্যবস্থায় আমাদের ভরসা রয়েছে। মেয়েটিকে মিথ্যে মামলায় জড়ানোর পরে সুকৃতির পাশে অনেকেই দাঁড়িয়েছেন।’’
দাড়িভিটে ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে ২৪ সেপ্টেম্বর আন্দোলনে নামে এসএফআই। মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো নিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এসএফআই কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের। তখন শিলিগুড়ি থানার আইসি দেবাশিস বসু-সহ চার পুলিশকর্মীর শরীরে কেরোসিন তেল ছেটানো হয় বলে অভিযোগ। সুকৃতি গ্রেফতার হন ১০ অক্টোবর।