পয়লা বৈশাখে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে রাজ্য গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের গণেশ পুজো। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
নববর্ষে সরকারি কর্মীদের মোবাইলে পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা। কিন্তু মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) আন্দোলনের আবহে সেই শুভেচ্ছা প্রত্যাখ্যান করলেন আন্দোলনকারীরা। এ বিষয়ে পাল্টা টুইট করে নিজেদের মতামতও জানিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনকারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেছেন, “আমাদের চোর-ডাকাত, চিরকুটের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছি ইত্যাদি বলার পরে এই শুভেচ্ছা বার্তাকে জুতো মেরে গরু দান বলেই মনে করি। তাই আমরা ওই মেসেজের পাল্টা টুইট করে প্রতিবাদও করেছি।”
এক দিকে কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার দাবি এবং অন্য দিকে নিয়োগ দুর্নীতি, দু’য়ে মিলে রাজ্য-রাজনীতির আবহাওয়া উত্তপ্ত। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারও স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে নেই। সেই অস্বস্তিই কর্মীদের একাংশের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর ‘চোর-ডাকাত’ কিংবা ‘চিরকুটে চাকরির’ মন্তব্যে ফুটে উঠেছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পরে আন্দোলনকারীদের মধ্যে অসন্তোষ আরও ছড়িয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্ব জানিয়েছেন, চিরকুটের মাধ্যমে চাকরির প্রমাণ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। প্রয়োজনে তদন্ত কমিশন বসানোর দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। সোমবার থেকেই ওই চিঠি পোস্ট অফিস মারফত নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে ই-মেলও করা হবে।
শনিবার নববর্ষের আবহে বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে কার্যত ‘বিদ্রুপ’ করতেও ছাড়েননি আন্দোলনরত কর্মীরা। ভাস্কর জানান, হালখাতার রীতি মেনে বকেয়া মেটানোর মতো মুখ্যমন্ত্রীও যাতে বকেয়া মেটান তা-ও চিঠিতে লিখছেন তাঁরা। পাওনা ডিএ-র মতো সরকারি চাকরি নিয়েও আন্দোলন চলছে। এ দিন ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশে গ্রুপ-ডি পদের চাকরিপ্রার্থীরা গণেশ পুজো করে নতুন বছরে চাকরি পাওয়ার প্রার্থনা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, গ্রুপ-ডি নিয়োগের দায়িত্বে থাকা দফতর খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা সত্ত্বেও চাকরি মিলছে না। তাই গত ২৩৬ দিন ধরে তাঁরা অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন।