দিলীপ ঘোষ। —ফাইল ছবি
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশি তাণ্ডবের প্রতিবাদে বুধবারও পথে নামলেন নদিয়ার নানা এলাকার মানুষ।
এ দিন বিকেলে ধুবুলিয়ায় মিছিল বার করে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। ধুবুলিয়া বাজার এলাকায় তারা আইনের প্রতিলিপি পোড়ায়। মিছিল বার হয় চাপড়াতেও। সেখানে বিকেলে কৃষ্ণনগর-করমিপুর রাজ্য সড়কে মিছিল করে যুব কংগ্রেস। কৃষ্ণনগর শহরেও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে মিছিল বার করা হয়। জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় আরএসপি। সদর হাসপাতাল মোড় এবং কৃষ্ণনগর স্টেশনেও তারা প্রতিবাদ সভা করে।
মিছিল বার করেছে তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মী ফেডারেশনও। তারা জেলা পরিষদ থেকে জেলা প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত মিছিল করে। বিকেলে মিছিল করেন কৃষ্ণনগর আদালতের আইনজীবীরাও। জাতীয় পতাকা হাতে নাকাশিপাড়ার বিলকুমারী থেকে তেহট্টের বার্নিয়া বাজার পর্যন্ত মিছিল করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়েও তৃণমূল অনুগামী কলেজ শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা-র নেতৃত্বে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার পড়ুয়াদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হয়। শুধু শিক্ষকেরাই নন, বহু পড়ুয়া ও সাধারণ কর্মীও মিছিলে পা মেলান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদ ঘুরে ফের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হন ছাত্র-শিক্ষকেরা। তবে কোথাও কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি।
বিজেপিও অবশ্য বসে নেই। তারা নিজেদের শক্তি-সামর্থ্য অনুযায়ী এই নতুন আইনের সমর্থনে প্রচার করছে। এ দিন কৃষ্ণনগরের কাছে জালালখালি বাজার এলাকায় নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে মিছিল করে বিজেপি। এ দিন সকালেই দেবগ্রামে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওই এলাকায় সোমবার নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিল থেকে বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছিল। বিকেলে হাঁসখালিতে গিয়ে জনসভায় দিলীপ দাবি করেন, ‘‘বিজেপি নয়, তৃণমূলই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে।’’ ভিড়ে ঠাসা সেই সভা থেকে মাঝে-মধ্যেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি উঠেছে। পরে সাংবাদিকদের দিলীপ বলেন, “যারা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট করছে তারা এই রাষ্ট্রের কেউ নয়। কঠোর হাতে দমন করা উচিত।’’