কাঁথিতে বিক্ষোভ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের। —নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির দেখা না পাওয়ায় কৃষিভবনে অবস্থানরত তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যদের টেনেহিঁচড়ে আটক করে প্রিজ়ন ভ্যানে তুলে মুখার্জীনগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তৃণমূলের নেতৃত্বকে এ ভাবে হেনস্থার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন অভিষেক। পাশাপাশি, বুধবার রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করেছে তৃণমূল। পথে নামবে টিএমসিপিও। সব ব্লক এবং টাউনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং যুব তৃণমূল যৌথ ভাবে প্রতিবাদ জানাবে।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এ হেন হেনস্থার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাতে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। দিল্লি পুলিশ বিক্ষোভরত তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-কর্মীদের আটক করে। ওই তালিকায় ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ও কোচবিহারের দিনহাটা বিধানসভার বিধায়ক উদয়ন গুহও। উদয়ন আটক হওয়ার খবর দিনহাটা পৌঁছতেই শহরের ব্যস্ততম পাঁচ মাথার মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূল কর্মীরা। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান হয়।
হুগলির কোন্নগর ও উত্তরপাড়াতে জি টি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। অবরোধ করা হয় শেওড়াফুলিতে। কোন্নগর পুরসভার পুরপ্রধানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা তৃণমূল। রাত সাড়ে ৯টা থেকে কোন্নগর ক্রাইপার রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয় জি টি রোডে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে দিলে পরে কোন্নগর জিটি রোডের বাটার মোড়ে অবরোধ শুরু হয়। উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদবের নেতৃত্বে উত্তরপাড়ার সখের বাজারে জি টি রোড অবরোধ করেন দলীয় কর্মীরা। শেওড়াফুলি ফাঁড়ির সামনেও জি টি রোড অবরোধ করেন তৃণমূলকর্মীরা।
হাওড়া ইছাপুরে শিবপুর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বেলুড় জি টি রোডে রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল যুব কংগ্রেস। ডোমজুড় মাকরদহ এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষোভ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।