পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন-পর্বে সন্ত্রাসের প্রতিবাদ ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে সন্ত্রাস বন্ধ করা এবং সরকারের দিক থেকে কার্যকরী পদক্ষেপের ডাক দিলেন বিশিষ্ট জনেদের একাংশ। ‘শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চে’র তরফে শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমরা চাই, নির্বাচনে সন্ত্রাস বন্ধ হোক। গণতন্ত্র লুন্ঠন মুক্ত হোক। রক্তপাত ও প্রাণহানি বন্ধ হোক। এখনও যে সময় আছে সরকারি প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজনৈতিক দলগুলি বিশেষত, শাসক দল কাল বিলম্ব না করে এর জন্য উদ্যোগী হোন’। বিবৃতিতে সই করেছেন বিভাস চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, অপর্ণা সেন, বিমল চট্টোপাধ্যায়, মিরাতুন নাহার, সুজাত ভদ্র, পল্লব কীর্তনীয়া, প্রাক্তন সাংসদ তরুণ মণ্ডল, প্রাক্তন বিধায়ক তরুণকান্তি নস্কর প্রমুখ। তাঁরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘এই রাজ্যে অতীতেও নির্বাচনে সন্ত্রাস, হামলা ও খুন জখম হয়েছে। তা কখনওই কাম্য ছিল না। গত ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে যে অভূতপূর্ব সন্ত্রাস প্রশাসনকে সম্পূর্ণ কব্জা করে হয়েছিল, তারও তীব্র প্রতিবাদ আমরা করেছিলাম’। মনোনয়ন-পর্বের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এবং শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবিতে এ দিনই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র ডাকে বিক্ষোভ সভা হয়েছে। ওই মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘মনোনয়ন-পর্বেই চার জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য পুলিশ প্রত্যক্ষ ভাবে শাসক দলের গুন্ডাদের সাহায্য করেছে। মুখ্যমন্ত্রী হিংসার জন্য বিরোধীদের দায়ী করে বক্তব্য রাখার পর গুন্ডারা আরও হিংস্র হয়ে উঠবে।’’ তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দাবি করেছে, প্রতি ভোট-কেন্দ্রে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। তাঁদের দাবি, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।