Coal India

কোল ইন্ডিয়ার সংস্থা সরানোর ভাবনা, প্রতিবাদে কংগ্রেস

লকডাউনের মধ্যেই এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনিমন্ত্রী প্রহ্লাদ বেঙ্কটেশ জোশীকে চিঠি পাঠালেন প্রদেশ কংগ্রেস সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৩১
Share:

ফাইল চিত্র।

কোল ইন্ডিয়ার অধীনস্থ চারটি সংস্থার দফতর কলকাতা থেকে সরানোর পরিকল্পনা রুখতে আসরে নামল কংগ্রেস। লকডাউনের মধ্যেই এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনিমন্ত্রী প্রহ্লাদ বেঙ্কটেশ জোশীকে চিঠি পাঠালেন প্রদেশ কংগ্রেস সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর যুক্তি, এমন সিদ্ধান্ত হলে কোল ইন্ডিয়ার দৈনিক উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। তার পাশাপাশি, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে বেশ কিছু কর্মীর কাজ হারানোর আশঙ্কাও থাকছে।

Advertisement

কোল ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ তাঁদের অধীনস্থ চারটি সংস্থা বিসিসিএল, সিসিএল, এসইসিএল এবং এমসিএল-এর দফতর কলকাতা থেকে সরিয়ে ওই সংস্থাগুলির সদর দফতরের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর। তার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, কোল ইন্ডিয়ার সদর দফতর কলকাতায়। ওই অধীনস্থ সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে কোল ইন্ডিয়ার যে দৈনন্দিন কাজ চলে, তাদের দফতর কলকাতা থেকে সরালে তা ব্যাহত হবে। পরিকাঠামোগত বিন্যাস বদলানোর জেরে ‘মহারত্ন’ সংস্থা কোল ইন্ডিয়ার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় তার প্রভাব পড়তে পারে। তা ছাড়া, করোনা-সঙ্কটের জেরে অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগছে। অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের কাজ হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখন অধীনস্থ সংস্থাগুলির দফতর সরাতে গেলে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের অনেকে যে কাজ হারাবেন না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? স্থায়ী কর্মীদের একাংশও ঠাঁই বদল করতে না পারলে তাঁদের অবসর নিতে বলা হতে পারে। প্রদীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘করোনার জেরে অর্থনীতির যা হাল, তার মধ্যে এমন পরিকল্পনা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। তা ছাড়া, এর সঙ্গে বাংলার অনেক মানুষের স্বার্থও জড়িত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement