আরাবুলকে ঘিরে বিক্ষোভ ভাঙড়ে

বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ ভাঙড় ২ ব্লকের সাতুলিয়ার বেলেদোনা বাজারে কর্মসূচি ছিল ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আরাবুল ইসলামের।

Advertisement

সামসুল হুদা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৯ ০১:৫৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হল ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে।

Advertisement

বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ ভাঙড় ২ ব্লকের সাতুলিয়ার বেলেদোনা বাজারে কর্মসূচি ছিল ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আরাবুল ইসলামের। সঙ্গে ছিলেন ছেলে হাকিমুল-সহ দলের কয়েক জন। নেতারা পৌঁছে গেলেও তখনও ভিড় জমেনি সভায়। ফাঁকা চেয়ার সাজাতে দেখা যায় আরাবুলকেই। সঙ্গীসাথীরা ফোন করে লোকজন জড়ো করতে থাকে। কিছু ক্ষণ পরে গুটিকয় লোক হাজির হয়।

এরই মধ্যে বক্তৃতা শুরু করেন আরাবুল। সে সময়ে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এক গ্রামবাসী। তিনি চেঁচিয়েই বলেন, ‘‘এখানে কোনও উন্নয়ন হয় না। রাস্তাঘাট খারাপ। কাজ না করে শুধু সভা করলে হবে!’’

Advertisement

এ কথা শুনে আরাবুলের লোকজন রে রে করে তেড়ে যান ওই ব্যক্তির দিকে। তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। তত ক্ষণে গ্রামের আরও লোকজন জড়ো হয়ে গিয়েছে। তাঁরা ওই ব্যক্তির পক্ষ নিয়ে মুখ খোলেন। এলাকায় পথঘাট খারাপ, নিকাশির সমস্যা আছে— এ সব বলতে থাকেন। সে সব নিয়ে কথা বলতে গেলে কেন নিগৃহীত হতে হবে, সে প্রশ্ন তুলে শোরগোল ফেলে দেয় জনতা। আরাবুল মঞ্চ থেকে নেমে এসে গোলমাল থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ঘিরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। ভেস্তে যায় সভা।

এ দিকে, আরাবুলকে ঘিরে বিক্ষোভের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়। আরাবুল-পুত্র হাকিমুল এক সাংবাদিকের ক্যামেরা ভেঙে দেন বলেও অভিযোগ। আরাবুল অবশ্য গোলমালের কথা মানতেই চাননি। তিনি পরে বলেন, ‘‘রাস্তাঘাট নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছিল। বলেছি, বর্ষায় কাজ হচ্ছে না। বর্ষা মিটলেই সব কাজ হবে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘দিদিকে বলো কর্মসূচিতে মানুষ প্রশ্ন করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। আমাদের বুঝিয়ে বলতে হবে। সেটাই করেছি। কোনও বিক্ষোভ-গোলমাল হয়নি।’’ আরাবুল এ কথা বললেও তাঁর এলাকার বহু মানুষ উল্টো সুরেই কথা বলছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির কথায়, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে ভাঙড় ২ ব্লকের পাকাপোল থেকে কাঁঠালিয়া পর্যন্ত রাস্তা বেহাল। এলাকায় উন্নয়ন বলে কিছু নেই। নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কাজের কাজ করেন না। এ সব নিয়ে প্রশ্ন করলে নেতারা শুনতেই চাইছে না। কেউ অভিযোগ তুললে তাঁর দিকেই তেড়ে যাচ্ছেন, মারধর করছেন।’’ এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘আরাবুলের মতো নেতাদের জন্য ভাঙড়ের বদনাম হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement