প্রতীকী ছবি।
করোনা আবহে ক্লাস অনেক দিন হচ্ছে না। পড়াশোনা আবার শুরু করার জন্য মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা পড়ুয়াদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর জন্য রাজ্য সরকার, বণিকসভা এবং প্রাক্তনীদের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (জুটা) পক্ষ থেকে উপাচার্যের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, প্রয়োজনে পড়ুয়াদের টেলিফোনের মাধ্যমে পড়াশোনা করানো হোক। প্রস্তাব ছিল, যে সব পড়ুয়ার কাছে অনলাইন পঠনপাঠনের জন্য স্মার্টফোন নেই। অথবা স্মার্টফোন থাকলেও ইন্টারনেট পরিষেবা নেই, তাঁদের জন্য স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ করুন। জুটার বক্তব্য ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যভাণ্ডারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা তাঁদের অডিয়ো-ভিডিয়ো নোটস, পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনস আপলোড করে দিক। পড়ুয়ারা দেখে না বুঝতে পারলে সেই বিষয়গুলি টেলিফোনের মাধ্যমে শিক্ষকরা পরিষ্কার করে দেবেন।
এর আগে একটি সমীক্ষা করে দেখা যায় প্রায় ৫০০ পড়ুয়ার স্মার্টফোন নেই। দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নেই, এমন পড়ুয়ার সংখ্যার এখন গণনা চলছে। এর মধ্যে যাঁরা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি হবেন তাঁদের ধরা যায়নি। এর পর সিদ্ধান্ত হয়, মোবাইল ডেটা-সহ স্মার্টফোন, দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ, যাঁর যেটা প্রয়োজন দেওয়া হোক। একটি মোবাইল ফোন ব্যাঙ্ক তৈরি হোক। সেখান থেকে প্রয়োজনে পড়ুয়ারা ফোন নেবেন। প্রয়োজন মিটে গেলে ফেরত দেবেন। সূত্রের খবর, এর জন্য যে টাকা খরচ হবে, প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছে, তার পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। রবিবার উপাচার্য জানান, ‘‘রাজ্য সরকার, চারটি বণিকসভা এবং প্রাক্তনী সংসদকে এই খরচ বহনের বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। এর পর শিক্ষকদেরও দেব।’’
২৩ অগস্ট থেকে ক্লাস শুরু করে দিয়ে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তর্বর্তী (ইভেন) সিমেস্টারগুলির যতটা পড়াশোনা বাকি আছে, তা শেষ করার কথা ভাবা হচ্ছে।