Covid-19

নির্দেশিকায় নেই, দুধ বণ্টনে সমস্যা

স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে উত্তর শহরতলির বেশ কিছু এলাকায় দুধের দোকান চালু হতেই পুলিশ তা বন্ধের নির্দেশ দেয়। দুধের মতো জরুরি পরিষেবা কেন বন্ধ করা হবে, তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২০ ০৭:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্য সরকারের লকডাউন নির্দেশিকায় জরুরি পরিষেবার আওতায় দুধের উল্লেখ নেই। বৃহস্পতিবার সার্বিক লকডাউনের প্রথম দিন তাই রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় দুধ বিক্রি বা দুধের গাড়ি চলাচলে তৈরি হল সমস্যা। সরকারি ভাবে কেউ মুখ না খুললেও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মী-আধিকারিকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, সরকারি নির্দেশিকায় দুধ পরিষেবাকে ছাড় দেওয়ার কথা উল্লেখ না থাকার যুক্তিতে দুধের দোকানগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে উত্তর শহরতলির বেশ কিছু এলাকায় দুধের দোকান চালু হতেই পুলিশ তা বন্ধের নির্দেশ দেয়। দুধের মতো জরুরি পরিষেবা কেন বন্ধ করা হবে, তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। সূত্রের দাবি, পুলিশ সংশ্লিষ্ট দোকানগুলিকে জানিয়েছে উপযুক্ত নির্দেশিকা পেলে তবেই আগামিকাল, শনিবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে দুধের দোকান চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হবে। দুধ বণ্টন নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের কয়েকটি জায়গায় সমস্যা হয়েছে বলে খবর।

গত ২১ জুলাই যে নির্দেশিকা রাজ্য সরকার প্রকাশ করেছিল, তাতে দুধের প্রসঙ্গ আলাদা করে ব্যাখ্যা করা ছিল না। বলা হয়েছিল, সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি পরিবহণ বন্ধ থাকবে। নিয়ন্ত্রণের আওতার বাইরে রাখা হবে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গতিবিধি, ওষুধের দোকান, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা, আদালত, সংশোধনাগার, দমকল, বিদ্যুৎ, জল, চালু শিল্পোৎপাদন, চা-বাগানের কাজ, আন্তঃজেলা ও আন্তর্রাজ্য পণ্য পরিষেবা, ই-কমার্স, সংবাদমাধ্যম এবং রান্না করা খাবারের হোম ডেলিভারি। নির্দেশিকায় আরও বলা ছিল, উল্লিখিত এই ক্ষেত্রগুলি ছাড়া বাকি সব গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের আওতায় থাকবে।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, এর আগে সার্বিক লকডাউন পর্বে সরকারি নির্দেশিকায় দুধের মতো জরুরি পরিষেবাকে নিয়ন্ত্রণের আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল, আনাজ, ডিমের মতো পণ্যের চলাচলও। এ বার সরকারি নির্দেশিকায় আলাদা করে দুধের কথা উল্লেখ না থাকায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, লিখিত ভাবে না থাকায় পুলিশের পক্ষেও নিজে থেকে দুধ বণ্টনকে ছাড় দেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রশাসনের তরফে এ বিষয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের তরফে বারীন মজুমদার বলেন, “দুধ পরিষেবা বন্ধ হবে না। এটা জরুরি পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন, এটা বন্ধ হবে না। আধিকারিক স্তরে এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিছু সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement